উত্তরপাড়ায় প্রচারে মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দীপ্সিতার

অঙ্কের হিসেবে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এই আসনে কি কঠিন লড়াই দিতে পারবেন দীপ্সিতা?

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী করা হয়েছে দীপ্সিতা ধরকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বালি বিধানসভা থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। এবার তাঁকে দেওয়া হল শ্রীরামপুর আসনের টিকিট। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন। অঙ্কের হিসেবে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এই আসনে কি কঠিন লড়াই দিতে পারবেন দীপ্সিতা?

গত লোকসভা ভোটের নিরিখে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে সিপিএম যার মধ্যে জাঙ্গিপাড়া, শ্রীরামপুর, ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল বামেরা। এর মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে জাঙ্গিপাড়া কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল আইএসএফ। অন্যদিকে, ডোমজুড় কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী দিলেও মাত্র ৯ শতাংশ ভোট ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বাম শরিক আরএসপি প্রার্থী দেয়। সেখানেও মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পায় সিপিএম। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই সবথেকে কম ভোট পড়েছিল সিপিএম প্রার্থীরা ভোট বাক্সে। সেক্ষেত্রে ভোটের শতকরা হার বাড়ানোটাই এখন লক্ষ্য সিপিএমের।বাম যুব নেত্রী শুক্রবার প্রচার করলেন উত্তরপাড়া এলাকায়। মানুষের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করার ডাক দিলেন।

দীপ্সিতা বলেন, ‘৪২ টা সিটই টাফ। কারণ যাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়। তাই ভোটারদের বলব, নিজের ভোটটা নিজে দিন। তারপর তো জয় পরাজয়।’ তিনি জানান, কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করার দরকার নেই। আমাদেরও বিশ্বাস করবেন না। কাজ দেখে বিচার করুন। তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে দীপ্সিতা ধর জানান, তিনটে সরকারকেই দেখেছেন। কারা কী করেছে দেখুন। সেটা ইউপিএ ১ এর একশ দিনের কাজ হোক,রাইট টু ইনফরমেশান হোক বা রাইট টু এডুকেশান হতে পারে।






 

Previous articleআবাস যোজনার ‘প্রতিশ্রুতি’: তৃণমূলের অভিযোগে পদক্ষেপ কমিশনের
Next articleভারতের ৪ হাজার বর্গমিটার এলাকা দখল চিনের! লাদাখে চাংথাং-মার্চ সোনমের