‘উচ্চাশা’ কাকে দেখাচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে বাংলার ইতিহ্য মনে করালেন কুণাল

জীবনে বড় কিছু করার কোনও ইচ্ছা নেই। মৃণাল সেনের সিনেমা পর্যন্তই দৌড় বাঙালিদের। এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল (Sanjib Sanyal)। এরপরই তার মন্তব্যের পাল্টা ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বৃহস্পতিবার কুণাল প্রশ্ন করেন, কে এই সঞ্জীব সান্যাল? কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করে? শিকল খুলে গেছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাঙালির ইতিহাস, বাঙালির ঐতিহ্য। বাংলা আজ যা ভাবে , গোটা ভারতবর্ষ কাল তাই ভাবে।

কুণাল মনে করিয়ে দেন কতগুলো নোবেল জয়ী আছে বাংলার মাটিতে তার ধারে কাছে অন্য রাজ্য নেই। উচ্চাশার কথা বলছেন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সংগীত শিক্ষা সংস্কৃতি সাহিত্য চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা, অর্থনীতি, সবেতে ভারতের সেরা বাংলা থেকে বাঙালিরা। বাংলার সমস্ত যে স্কিমগুলো সেগুলো আজ অন্য রাজ্য নকল করছে উচ্চাশা কাকে দেখাচ্ছেন সঞ্জীব বাবু? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘুরঘুর করেন বলে? উচ্চাশা আমাদের রয়েছে প্রণব মুখোপাধ্যায় যেমন বাংলা থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হবেন বাংলার ঘরের মেয়ে এটাই আমাদের বাংলা রাজনৈতিক কর্মীদের উচ্চাশা। খালি আপনার এই কথা বাংলাকে অপমান করার জন্য ‌। কুণালের কটাক্ষ, আপনি কী এই জমিদারদের নায়েব গিরি করতে গিয়ে নিজের বাঙালি সত্তাটাকেই হারিয়েছেন? কুণাল মনে করিয়ে দেন, আসুন একবার বাংলায়। আপনাকে ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেব বাংলার মাটিতে যা আছে সেগুলো বাংলা এবং বাঙালির। দেশে এগিয়ে যাওয়ার সম্পদ, চিন্তা করা সম্পদ, মেধার সম্পদ, সবেতেই সেরা বাঙালি। তাই ভুল করেও বাঙালিকে অপমান করবেন না। বহিরাগত জমিদারদের দালালি করছেন করুন। কিন্তু বাংলাকে অপমান করার কোনও অধিকার আপনার নেই।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকার (Jawhar Sircar)বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বাঙালি’ অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে আমি চিনি। সারা জীবন দিল্লি আর বিদেশেই থেকেছে। বাংলা অক্ষরও জানে না। এরপরই সঞ্জীবকে বাংলার মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল বলেছেন দাবি করেন, বর্তমানে কলকাতার যে দুর্দশা হয়েছে, সেটার মূলে আছেন সাধারণ মানুষই। তাঁরা সিগারেট ফুঁকে, মদ খেয়ে নিজেদের ‘আঁতেল’ ভাবেন। কিন্তু দিনের শেষে তাঁদের সঠিক লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে ‘দৈন্যতা’-য় ডুবে আছেন বাঙালিরা।

Previous articleবৈদ্যুতিক যানে নতুন যুগের সূচনা করল রাফ্ট কসমিক ইভি
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ