চা-সিঙাড়া থেকে মাংস-ভাত, বিরিয়ানি, ভোট প্রচারে খাবারের দর বাঁধল নির্বাচনী দফতর

জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারের জন্য ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন।

এবার লোকসভা ভোট প্রচারে প্রার্থীদের খরচের ঊর্ধ্বসীমা অনেকটাই বাড়িয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আবার প্রচারের সময় প্রার্থীর খাবার, গাড়ি সহ বিভিন্ন খাতে খরচের তালিকা তৈরি করে দিচ্ছে জেলা নির্বাচনী দফতর। যেমন পাঞ্জাবের জলন্ধরে একজন প্রার্থী প্রচারে এক কাপ চায়ের সঙ্গে এক পিস সিঙাড়া জন্য ১৫ টাকা খরচ করতে পারবেন।রাজ্য ও জেলাভিত্তিক এই হিসেবেটা পাল্টে যাচ্ছে। কোথাও কম, কোথাও বেশি।

হিংসার মণিপুরের থৌবাল জেলায় চা, কফি, কচুরি, খেজুর ও গজার দাম ১০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আবার টেংনৌপাল জেলায় লাল চায়ের দাম ৫ টাকা ও দুধ চায়ের দাম ১০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে হাঁস ও মুরগির মাংসের দাম ৩০০ টাকা ও ৪০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আবার চেন্নাইয়ে চা ও কফির দাম ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ টাকা ও ২০ টাকা। সেখানে প্রার্থীরা প্রচারে কাউকে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াতে চাইলে ১৫০ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না। একইভাবে উত্তর ভারতে ভেজ থালি, কচুরি বা জিলিপির দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।প্রার্থীরা বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যেই খরচ করছেন কি না, তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আর এই বেঁধে দেওয়া খরচের তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিভিন্ন খাবারের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির সাযুজ্য নেই।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারের জন্য ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। তবে অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, সিকিম ও কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই উর্ধ্বসীমা ৭৫ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন জেলা নির্বাচনী দফতরের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রচারের জন্য ফ্লেক্স, হোর্ডিং বা পতাকার পাশাপাশি বিভিন্ন মডেলের গাড়ি ও বাসের ভাড়া, হেলিপ্যাড তৈরির খরচ, কুলার, সোফা এমনকী বিভিন্ন ধরনের ফুলের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে খাবারের দাম।

 

Previous articleস্টিম্যাচের জবাবদিহি চাইতে কমিটি গঠন করল ফেডারেশন
Next articleযোগীরাজ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা, শিশু-মহিলা সহ মৃত ৪!