Wednesday, May 21, 2025

গভীর রাতেই হাসপাতালে আহতদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের আশ্বাস

Date:

Share post:

রবিবার বিকেলে তিন মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনের তৎপরতায় এবং স্থানীয় মানুষের সাহায্যে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। রাত ১টা নাগাদ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখে বেরিয়ে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশাসন, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আচমকা ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার বিকেলের এই দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত শতাধিক। ঘটনার খবর পেয়েই, রবিবার রাতেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী, জানান এমসিসি কোড চলছে বলে বিস্তারিত জানাচ্ছেন না। প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের সব রকম ভাবে সাহায্য করা হবে। সেখান থেকে তিনি যান বিপর্যয়ে স্বজনহারা দুই পরিবারের কাছ। তাদের সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। সেখানে আহত প্রত্যেকের বেডের কাছে গিয়ে কথা বলেন তিনি। চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা। সকলকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, প্রশাসন পাশে আছে।

পরে সংবাদ মাধ্যমকে মমতা (Mamata Bandopadhyay) জানান, ভয়ংকর বিপর্যয় হয়েছে। যেভাবে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান স্থানীয় মানুষ এবং প্রশাসনের সাহায্যে দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পৌঁছানো গিয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মমতার কথায়, সবচেয়ে বড় ক্ষতি পাঁচজনের মৃত্যু। এই ক্ষতি অপূরণীয়- মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁদের তো আর ফেরানো যাবে না। তবে যাঁরা আছেন, তাঁদের সুস্থ করে তুলতে সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘরবাড়ি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। প্রশাসনের তরফে যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সবই করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা ময়নাগুড়ির ত্রাণ শিবিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন সুস্থ হয়ে উঠতে হবে। বাড়ি ঘরের বিষয় প্রশাসন দেখে নেবে। প্রশাসন পাশে আছে- আশ্বাস দেন মমতা। ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম যেখানে সমস্ত বাড়িঘর ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে, সেই জায়গা পরিদর্শন করেন মমতা। জানান সোমবার আলিপুরদুয়ারে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।



spot_img

Related articles

বুধে উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে জোর রাজ্যের

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে উত্তরকন্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।...

IPL-এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সম্মেলনের প্রচার SFI-এর! কী বলছেন সৃজন

CPIM-এর মতো বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সমর্থনও কি তলানিতে? না হলে কেন সর্বভারতীয় সম্মেলনে লোক টানতে আইপিএলকে কাজে লাগিয়েছে...

মামলা যাঁদের, আন্দোলনে উস্কানিও তাঁদের: বাম দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস কুণালের

চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে দুমুখো রাজনীতি বামপন্থী নেতাদের। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে সহানুভূতি দেখানো, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata...

১৩১ পরিবার পেল মাথার ছাদ! বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য ‘তিস্তাপল্লি’ উপহার মুখ্যমন্ত্রীর

তিস্তা নদীর ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছিল মেজুয়া ও লালডং চুমুকডালি গ্রামের ১৩১ জন মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এবার...