Tuesday, November 11, 2025

ঘর সামলাতে ‘মোদির রেকর্ডিং’ ভরসা! মণিপুরবাসীকে ‘মিথ্যা’ আশ্বাস বীরেনের, পাল্টা চাল কংগ্রেসের

Date:

Share post:

একে তো রাজ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের জেরে আগেভাগেই খবরের শিরোনামে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। তার উপরে গত ১১ মাসে অসমে এলেও এক বারের জন্যে মণিপুরমুখো (Manipur) হননি প্রধানমন্ত্রী। আর সেকারণে লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) মুখে গেরুয়া শিবিরে (BJP) বাড়ছে অস্বস্তি। উত্তর পূর্বের রাজ্যের ইনার কেন্দ্রে ক্রমেই মানুষ বিজেপির (BJP) থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন বলে খবর। আর সেই পরিস্থিতিতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মিথ্যা রেকর্ডিংকে (Recording )হাতিয়ার করেই প্রচার শুরু করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)।

সূত্রের খবর, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের বক্তব্য এবং স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ২৯ সেকেন্ডের রেকর্ডিং মণিপুরবাসীকে শুনিয়ে কিছুটা পাপ স্খলনের চেষ্টা মোদি সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী বিরেন দুই রেকর্ড নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়ে বেরাচ্ছেন। যারা প্রশ্ন করছেন বিজেপিকে ভরসা করা মানে খাল কেটে কুমির আনা, তাঁদের উদ্দেশে বিরেনের সাফাই, “কে বলল প্রধানমন্ত্রী কথা বলেননি! এই তো বলেছেন। এক নয়, একাধিকবার। বিশ্বাস হচ্ছে না? তা হলে নিজের কানে শোনো। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের প্রার্থী তথা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিমল আকোইজাম সহজেই মণিপুরবাসীর প্রতি মোদির অবহেলা, বিশ্বাসঘাতকতাকে হাতিয়ার করে ভোটের প্রচারে নেমেছেন। ইতিমধ্যে, পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চলছে। দোকানে দোকানে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিমল বলেন, আমি বরাবরই রাজ্য রাজনীতি নিয়ে সরব। তার উপরে ভোট দিয়েছি। তার মানেই তো রাজনীতির অংশ ছিলাম। বলতে পারেন ভোট রাজনীতিতে প্রথম এসেছি। কারণ, যতক্ষণ না সংসদে বক্তব্য রাখব, আমার মতামত সেই গুরুত্ব পাবে না। তাই বাবা যে দল থেকে লড়েছিলেন, সেই দলই বেছে নিলাম। বিমল বলেন, তাও নামতাম না এই মাঠে। বিজেপি সরকার পরিস্থিতি কবে ঠিক করে সেই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে মণিপুরকে অবজ্ঞা করলেন, যে ভাবে স্বাধীন ভারতে নজিরবিহীন গৃহযুদ্ধ, শরণার্থী সমস্যা দেখা দিয়েছে মণিপুরে, তাতে এই সরকারের উপরে কারও ভরসা নেই। রাজ্যবাসীর ক্ষোভ বৃহত্তর মঞ্চে তুলে ধরতেই ভোটে নামলাম। তাঁর দাবি, নিশ্চয়ই এই হানাহানি রাজনৈতিক স্বার্থে ঘটতে দেওয়া হচ্ছে। তাই সেনাকে পরিস্থিতি সামলানোর পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছে না এই সরকার।

কিন্তু যে অধ্যাপক দিল্লিতে বসে ইম্ফলে সশস্ত্র বেসামরিক বাহিনীর দাপট, কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ নিয়ে মেইতেইদের সমালোচনা করেছিলেন, তিনিই প্রার্থী হওয়ার পরে সুর বদলেছেন। ইনার কেন্দ্রের মেইতেই ভোটের স্বার্থে তিনি বললেন, কুকিদের দিকে জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ অবশ্যই অনুপ্রবেশ। বিধানসভায় তাদের আসন বেড়ে ১০ হয়ে গিয়েছে। তাই ভূমিপুত্র-অ-ভূমিপুত্রদের আলাদা করতেই হবে। তবে, সে কাজ করতে হবে বিজ্ঞানসম্মত ও সংবিধানস্বীকৃত পথে। অবশ্যই আনতে হবে এনআরসি। তাঁর মতে, সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার আতঙ্ক থেকেই মেইতেইদের মধ্যে থেকে এসটি হওয়ার দাবি উঠেছে।

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...