রাজ্য সরকারি সব প্রকল্প পান: BJP পার্টি অফিসে বসেই কবুল প্রার্থী রেখার

অবশেষে রাজ্য সরকারি প্রকল্প প্রাপ্তির কথা স্বীকার করতে বাধ্য হলেন বসিরহাটের বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra)। কলকাতার বিজেপি রাজ্য সদর দফতরে বসে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় প্রার্থী মুখ ফস্কে কবলু করলেন, তৃণমূল সরকার অনেক প্রকল্প করেছে। সেগুলি তাঁরা পাচ্ছেন।

সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) প্রার্থী করেছে বিজেপি। সেই রেখাই মাসে-মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা পান। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। এই বিষয়টি আগেই ফাঁস করেছিল তৃণমূল। গত শনিবার, তপনের সভা থেকে এই বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে মোক্ষম খোঁচা দেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন তুললেন, “সরকার না দিলে এসব কোথায় পেতেন?” রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও বিজেপির প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে দুষছেন সন্দেশখালির রেখা পাত্র। অভিযোগ করেন, তাঁর মতো সন্দেশখালির বহু মহিলা না কি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান না। অথচ সরকারি নথি বলছে, বসিরহাটের বিজেপি (BJP) প্রার্থীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। প্রতি মাসে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। এই ইস্যুতেই তাঁর নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”যে মহিলাকে ওখানে প্রার্থী করেছে, তারা নাকি কিছু পায় না। আমি বলছি মিলিয়ে নিন, তিনি স্বাস্থসাথী কার্ডও পান, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও পান। আমরাই কিন্তু সেটা করে দিয়েছি।”

এবার নিজেই মুখ ফসকে সত্যিটা বলে ফেললেন সন্দেশখালির রেখা। স্বীকার করে নিলেন, তৃণমূল সরকার অনেক প্রকল্প করেছে। সন্দেশখালির মানুষ নিয়মিত রাজ্য সরকারের সেইসব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো রাজ্য সরকারের যাবতীয় জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে এখন বিজেপি প্রার্থী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরোধিতা করছেন রেখা। সন্দেশখালিকাণ্ড জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে বিজেপি। তাদের মদতেই নেত্রী সেজে বসেছিলেন রেখা পাত্র। আসলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট বাগানোই ছিল তাঁর মূল এজেন্ডা। আর এখন সেই রেখা নিজেই স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির মানুষও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, সন্দেশখালি নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। তাঁর মতে, “সন্দেশখালি নিয়ে বলছে, চোরের মায়ের বড় গলা। সন্দেশখালিতে জমিজমা নিয়ে কিছু গণ্ডগোল হয়েছিল। আমাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব জায়গা ফিরিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশাসন সব কাজ করেছে।” তাঁর কথাই যে ঠিক এদিন রেখার স্বীকারোক্তিই তার প্রমাণ।




Previous articleসূর্যগ্রহণের খারাপ প্রভাবকে ভয়! মার্কিন জ্যোতিষীর কাণ্ড দেখে তাজ্জব পুলিশ
Next articleকমিশনের শর্ত মেনেই উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাল রাজ্য