এটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের ভাষা! দিনহাটার মঞ্চ থেকে ধুয়ে দিলেন মমতা, নিশানা নিশীথকেও

নির্বাচনী প্রচারে এসে “সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দেওয়া হবে”- নিদান দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার কোচবিহারের দিনহাটার নির্বাচনী মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। “এই ভাষা কি গণতন্ত্রে শোভা পায়?”- প্রশ্ন তুললেন মমতা।


বুধবার বালুরঘাটের বুনিয়াদপুরের সভা থেকে ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, , “আপনার কেউ চিন্তা করবেন না। হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দেওয়া হবে”। দুদিন পরেই এই বিষয় নিয়ে প্রচার মঞ্চ থেকে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, “বলছে উল্টে ঝুলিয়ে রেখে দেব! এটা হোম মিনিস্টারের মুখের ভাষা! এই ভাষা কি গণতন্ত্রে শোভা পায়?” এর পরেই তোপ দেগে মমতা বলেন, “কাদের ঝুলিয়ে রাখবে? এত রংবাজি কোরো না, আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখো!” তৃণমূল (TMC) সভানেত্রীর খোঁচা দিয়ে বলেন, “বুনিয়াদপুরকে বলছে বেলুরঘাট। অন্তত বালুরঘাট বল। বুনিয়াদপুর বালুরঘাট আলাদা। নামটাও ঠিক করে জানে না।”

এদিন ফের কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও (Nishith Pramanik) নিশানা করেন মমতা। তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, এক কচি হোম মিনিস্টার- যাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে মঞ্চের সামনে এনে দলনেত্রী সামনে এনে বলেন, দেখুন আমাদের প্রার্থী একজন ভদ্র মানুষ। বলেন, “আমরা একটা প্রার্থী দিয়েছি। ভদ্রলোক। আর বিজেপির প্রার্থী একজন গুন্ডা। মা-বোনেদের সম্মানহানি করে, এনআইএকে দিয়ে মা-বোনেদের অসম্মান করে, সিবিআইকে দিয়ে মানুষকে হেনস্তা করে, সংখ্যালঘু-রাজবংশীদের ভয় দেখায়। আর কোটি কোটি টাকার ডিল করে।”

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “খবর আমিও রাখি। দানব দস্যু, কত কেস আছে তাঁর বিরুদ্ধে, বিএসএফ, স্থানীয় পুলিশের একাংশ আর চোরাকারবারিদের একাংশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এলাকার মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।” বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে মমতা বলেন, “দশটা পুলিশের গাড়ি বিশটা গুন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর প্রশাসন সব দেখে বসে থাকে। কিসের ভয় চাকরি যাবে? নির্বাচন কমিশন সড়িয়ে দেবে?  দুমাস পরে কি করবেন? এখনই দিল্লি চলে যান। কে বারণ করেছে নাহলে নিশীথের বাড়ি চলে যান৷ কোচবিহারে  আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনরকম সমস্যা হলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। সব পুলিশ খারাপ না৷ তিন চারজন নাম আছে সবাই জানে৷  বিজেপি নিজেরা ডাকাত।“



Previous articleগঙ্গার ঘাটে অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
Next articleদিল্লির পর ঝাড়খণ্ড! মোদি সরকারকে উৎখাত করতে বিরোধী জোটের ‘মহাসমাবেশে’ যোগ তৃণমূলের