ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসনের মাধ্যমে ‘বাংলার বাড়ি’-র সুবিধা পাবেন: আশ্বাস মমতার

যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। গরিব লোকেদের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমায় যদি কেস দাও, আমি গর্ব বোধ করব। গর্বিত হব। শুক্রবার, দিনহাটা ও আলিপুরদুয়ারে জোড়াসভা থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দিতে রাজ্য প্রশাসনকে অনুমতি না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।

জলপাইগুড়ি-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি ধুলিস্যাৎ। নির্বাচনী আচারণ বিধি জারি থাকায় দুর্গত মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিতে নির্বাচন কমিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজি হয়নি কমিশন (Election Commission)। উল্টে আগের নিয়মে অল্প ক্ষতিগ্রস্তদের ৫হাজার ও বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের ২০হাজার টাকা দেওয়ার অনুমতি দেয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ফলে চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এদিন সভা থেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “উত্তরবঙ্গের ঝড়ে জন্য কি কাজ করেছেন? অসমের উৎসবের জন্য টাকা দিয়েছ আমি খুশি। কিন্তু বাংলাকে টাকা দিতে আপত্তি কেন? যাদের বাড়ি ভেঙেছে প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যাঁরা ২০ হাজার পেয়েছেন, প্রশাসন আবার ৪০ দেবে। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার প্রশাসন পৌঁছে দেবে। আপনারা কাজ শুরু করুন।“ এর পরেই মমতা সাফ জানিয়ে দেন, “গরিব লোকেদের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমায় যদি কেস দাও আমি গর্ব বোধ করব। গর্বিত হব।“

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ১১ লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি জানান, বাজেটেই সেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মমতা বলেন, “আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনারা এ বছরের মধ্যে বাড়ি তৈরির টাকার অর্ধেক কিস্তি পাবেন। পরের বছর বাকিটা।“

উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ছিটমহল আমরা করেছি। বিজেপি নয় অন্য কেউ নয়। বিমানবন্দর, জলপাইগুড়ি যোগীঘোপা আমরা করেছি। হেরিটেজ টাউন আমি করেছি। কোচবিহার স্টেশন জয়ী সেতু আমার করা৷ সিএএ প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা জীবন দেব কিন্তু সিএএ এনআরসি করতে দেবনা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে আমরা নাগরিক না। আমরা বাংলায় বাস করি সব কাজ করি, তুমি নিজে আগে নাগরিক হও। আমরা সবাই নাগরিক, কারো দয়া চাই না।“