ফাউন্টেন পেনের মহোৎসবে নবীন প্রবীণের ভিড় কলকাতার ICCR-এ!

আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে বল পেনের জনপ্রিয়তা বাড়লেও ফাউন্টেন পেনের কদর কিন্তু এতটুকু কমেনি। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে এই কলমের জুড়ি মেলা ভার, প্রমাণ মিলল পেন মহোৎসবের সাক্ষী হয়ে।

মোবাইল আর ল্যাপটপের যুগে যখন টাইপ করতে অভ্যস্ত নবীন থেকে প্রবীণের হাতের আঙ্গুল, ঠিক তখনই অন্য ছবি ধরা পরল ফাউন্টেন পেনের মহোৎসবে। দোয়াত কলম নিয়ে সব বয়সীদের আগ্রহ এক ভাল লাগা অনুভূতির জন্ম দিল নববর্ষের সন্ধ্যায়। কলমের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলেও তাতে বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই প্রেম-প্রেমীদের। ১৪৩১- এর প্রথম সন্ধ্যায় এভাবেই কলমের টানে ভিড় বাড়ল কলকাতার ICCR-এ। ব্যাতিক্রমী ভাবনাকে সামনে এনে বছর দুই আগে থেকেই ‘কিশলয় ইভেন্টস অ্যাণ্ড অ্যাডভারটাইজমেন্ট’ (Kisalay Events and Advertisement)ও ‘পেন ক্লাব’ (Pen Club)-এর উদ্যোগে চিত্তাকর্ষক ‘পেন মহোৎসব’-এর পথ চলা শুরু হয়েছে। এবছর তা তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী, চলছে বিকিকিনিও। প্রায় দুহাজারেরও বেশি ফাউন্টেন পেনের (Fountain Pens)সমাহারে মুগ্ধ ছোট থেকে বড় সকলেই। বৈশাখী সন্ধ্যায় সত্যিই যেন দাদু থেকে নাতি পর্যন্ত তিন প্রজন্মকে অদ্ভুত এক ঐতিহ্য আর নস্টালজিয়ায় ভরে তুলল এই পেন মহোৎসব- ৩ (Pen Mahotsav-3)।

কলমের যাত্রা শুরু প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি বছর আগে। মনের কথাকে খাতার পাতায় তুলে ধরতে পেনের ভূমিকা সত্যিই অবর্ণনীয়। ছোট থেকে বড় সকলের সঙ্গেই অবিছেদ্য বন্ধন তৈরি করেছে এই কলম। আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে বল পেনের জনপ্রিয়তা বাড়লেও ফাউন্টেন পেনের কদর কিন্তু এতটুকু কমেনি। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে এই কলমের জুড়ি মেলা ভার, প্রমাণ মিলল পেন মহোৎসবের সাক্ষী হয়ে। ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পেন-প্রেমীদের অবাধ প্রবেশ আইসিসিআর-এ। শিক্ষিত সমাজের ফেলে আসা মুহূর্ত আর ভাল লাগার অনুভূতিকে বর্ষশেষ আর বর্ষবরণের সন্ধিক্ষণে ‘ঝরনা কলম’ বা ফাউন্টেন পেন- এর প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সফল তৃতীয় পেন মহোৎসব।

 

Previous articleনির্বাচন বিধি চলাকালীন কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতিহিংসামূলক আচরণ, কমিশনে তৃণমূল
Next articleস্বৈরাচারী শক্তি যেন আমাদের সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ না করতে পারে: কালীঘাটে প্রার্থনা অভিষেকের