ওড়িশার দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, বিধি মেনে মৃত-আহত পরিবারের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

ওড়িশার জাজপুরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে মৃত পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই বাংলার। আহত অন্তত ৪০ জন যাত্রী, যাঁদের মধ্যে ৩২ জন বাংলার বাসিন্দা। ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণ বিধি (MCC) চলাকালীন নিয়ম মেনেই রাজ্য প্রশাসন মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ জাজপুরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে পুরী থেকে কলকাতামুখী একটি যাত্রীবোঝাই বাস। মোট ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। কেউ পুরীর সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে গেছিলেন, কেউ আবার মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গেছিলেন। কিন্তু ফিরতি পথে এমন দুর্ঘটনার কথা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেনি তাঁদের পরিবার। বারাবতি সেতু থেকে নীচে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে ৪ জন বাংলার পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর ও কোচবিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বাংলা থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য ওড়িশায় পৌঁছে গেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। নির্বাচনী প্রচারে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা পোস্ট করার পাশাপাশি বিধি মেনে রাজ্য প্রশাসন মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনাস্থলে বিশেষ আধিকারিক, প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে বলেও মমতা উল্লেখ করেন। মন্ত্রী সুজিত বসু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে উদ্ধারকাজ সামলাবেন।রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সরকারি আধিকারিকেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন। আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে বাসও পাঠানো হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Medical College And Hospital) আহতদের জন্য বেড রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে। মঙ্গলের সকালেই কটক হাসপাতালে রাজ্যের ৬ সরকারি আধিকারিক পৌছে খোঁজখবর নেন। এরপর মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও তাঁরা দেখা করবেন বলে খবর। যেহেতু রাজ্যে নির্বাচনী বিধিলাগু রয়েছে, তাই নিয়ম মেনে রাজ্য প্রশাসন সব ধরনের সাহায্য করবে বলেই জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

 

Previous articleগরমে মেট্রো বিভ্রাট! স্টেশনে পরপর দাঁড়িয়ে ট্রেন, ভোগান্তি চরমে
Next articleনির্বাচনী জনসভা থেকে ৩ মাসের মধ্যে লক্ষী ভাণ্ডার বন্ধের হুমকি বিজেপি নেত্রীর!