মোদির জুমলার ১০ দফা মোক্ষম জবাব ডেরেকের

নির্বাচনের মুখে এসে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) যে কত ‘জুমলা’ করছেন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O Brien)। ইডির এক্তিয়ারবহির্ভূত অতিতৎপরতা থেকে শুরু করে বাংলার প্রাপ্য ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রাখা— সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের ১০টি মিথ্যাচারকে সোমবার যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করেছেন ডেরেক।

টুইটে ডেরেক প্রধানমন্ত্রী মোদির ১০টি দাবির কথা উত্থাপন করেছেন। সেই সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতি কী তাও উল্লেখ করে বোঝাতে চেয়েছেন মোদির দাবি করা প্রতিটি কথায় মিথ্যে। টুইটে ডেরেক লিখেছেন, ‘মোদির দেওয়া ভাষণ বা দাবির সঙ্গে আমার তুলে ধরা তথ্য মিলিয়ে দেখে নিন!’

 

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ইডি ভাল কাজ করছে। ৯৭ শতাংশ মামলাই চলছে যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে আদৌ যুক্ত নন তাঁদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ডেরেকের মতে আসল বাস্তবটা হল, ২০১৪ সাল থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ৯৫ শতাংশই বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৯ থেকে ১০ জন, যাদের বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআই মামলা চলছে, তারা নিস্তার পেয়েছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর।

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দাবিও আসলে ডাহা মিথ্যা। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য পাকা বাড়ি, ট্যাপ ওয়াটার এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ২০২২ সালের মধ্যে নিশ্চিত করার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন, তাতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার।

তাঁর আমলে উন্নয়নের গতি এবং দক্ষতার বৃদ্ধি দাবি করেন মোদি। ডেরেকের দাবি, বাস্তব ঘটনা হল, গত ১৫ মাসে ১৮২১টি সরকারি প্রকল্পের মধ্যে ৭৮০টি প্রকল্পের কাজই অত্যন্ত ঢিমেতালে হচ্ছে। যা শতাংশের হারে ৪৩ শতাংশ।

নির্বাচনী বন্ড নিয়েও মোদির মিথ্যাচারকে বেআব্রু করে দিয়েছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবিষয়ে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই হানার পর ৩০টি সংস্থা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকা দিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, মোদির রাজত্বে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অঙ্ক ২০২৩-এ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১৩ শতাংশ কমেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তাই কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য কী আশা করে তা তিনি বোঝেন। তাই কোনও রাজ্যের উন্নয়নে তিনি নাকি বাধার সৃষ্টি করতে চান না। এই কথাটাও যে কত বড় মিথ্যা, তা তথ্যেই প্রমাণিত।

পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে বাংলার প্রাপ্য ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার আমজনতার সামনে বেআব্রু করে দিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন- সর্বধর্ম সমন্বয়- ভিডিও প্রকাশ করে বার্তা ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’-এর

Previous articleসর্বধর্ম সমন্বয়- ভিডিও প্রকাশ করে বার্তা ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’-এর
Next articleপুরী থেকে কলকাতা ফেরার পথে সেতু থেকে বাস উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা