ওড়িশার বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের চারজন মেদিনীপুরের, শোক নন্দীগ্রামে

ভুবনেশ্বর এইমসে স্বামী চন্দন দাসের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল এই দম্পতি। সকালে পরিবারের লোকেরা খবর পান দুর্ঘটনায় বর্ণালির মৃত্যু হয়েছে

ওড়িশার জাজপুরে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে চারজনই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। বাসটি যেহেতু ওড়িশা (Odisha) থেকে বাংলায় আসছিল তাই যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনায় আহত ৩৫ জন এখনও ওড়িশায় চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যেও অনেকেই এরাজ্যের বাসিন্দা। পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) নন্দীগ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বরে যাওয়া বর্ণালি বেরার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে।

ওডিশার জজপুরের কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বারাবতী ব্রিজ (Barabati bridge) থেকে নীচে পড়ে যায় বাসটি। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের একটি দল এডিএম(এলআর) সুমন মোহান্তীর নেতৃত্বে ওড়িশার উদ্দেশে যান। ৫ টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স (CCU ambulance), একটি সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি জেলা কর্মকর্তাদের ওড়িশায় গিয়েছে। একটি মিনিবাসও কটকে পাঠানো হয়েছে যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য। যোগাযোগের জন্য জেলা স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জজপুর পুলিশ। তৎক্ষণাৎ পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল এবং দমকল। গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।

 

দেহ উদ্ধারের পরে সনাক্ত করা যায় নন্দীগ্রামের বর্ণালি বেরা দাসকে। ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS) স্বামী চন্দন দাসের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল এই দম্পতি। সকালে পরিবারের লোকেরা খবর পান দুর্ঘটনায় বর্ণালির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী চন্দন দাস। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা উত্তম মাইতি ও এগরা থানার অচিন্ত্য মাইতিরও এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।

 

Previous article১৯-এর বঞ্চনার জবাব ১৯ এপ্রিল দিন: আলিপুরদুয়ারে জনসমুদ্র ভেসে বার্তা অভিষেকের
Next articleরোহিতের পাশে দাঁড়িয়ে হার্দিককে এক হাত শামির