যাদবপুরে রাম নবমীর পুজোর অনুমতি দিয়েও প্রত্যাহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

অনুমতি দিয়েও ফিরিয়ে নিল কর্তৃপক্ষ। রাম নবমীর (Ramnavami )পুজো হচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে। আজ, বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ক্যাম্পাসে রাম নবমীর পুজো হওয়ার কথা ছিল। কোনও শোভাযাত্রার অনুমতি ছিল না, বহিরাগতদের প্রবেশও নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধুমাত্র পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল, মঙ্গলবার গভীর রাতে সেই অনুমতিও প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

রাম নবমী পালনের অনুমতি চাওয়ার পর থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল এসএফআই। এনিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় বামেদের ছাত্র সংগঠন। এরপরই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন।

 

অনুমতি প্রত্যাহারের পেছনে মূলত ৩টি কারণ দেখানো হয়েছে। এক) ক্যাম্পাসে রাম নবমীর পুজো চেয়ে যেসব পড়ুয়া আবেদন করেছিল তাদের মধ্যে অনেকেএ জানান যে অনুমতি ছাড়াই তাঁদের নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে আবেদন পত্রে। দুই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। সেখানে বলা হয় রাম নবমীর পুজো হওয়ার ফলে ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বাতাবরণ খারাপ হবে। তিন) কিছুদিন আগেই উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি চিঠি এসেছে সেখানে বলা হয়েছে বর্তামানে মডেল কোড অব কনডাক্ট লাগু রয়েছে। তা যেন ভালো ভাবে মানা হয়। সেই কনডাক্টের কথা মাথায় রেখেই পুজো করা অনুমতি প্রত্যাহার কার হল।

রাম নবমীর পুজো করতে চেয়ে আবেদন করেন একদল পড়ুয়া। তাদের প্রস্তাব খতিয়ে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই শর্তসাপেক্ষে রাম নবমীর পুজো করতে অনুমতি দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে স্বরস্বতী পুজো, ইফতার পার্টি হলে রাম নবমী নয় কেন, এই যুক্তিতেই পুজোর অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর অনুমতি দেওয়ায় খুশি ছিলেন না পড়ুয়াদের একাংশ। সোমবারই পুজোর বিরোধিতা করে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানান একদল পড়ুয়া। তাঁদের বক্তব্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরোধী তাঁরা নন। কিন্তু তার সঙ্গে যদি কোনও রাজনীতি জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে তার বিরোধী তাঁরা। এরপরই মঙ্গলবার রাতে অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়।

Previous articleসিএএ’র লেজুড় এনআরসি! বাংলার মানুষকে সতর্ক করল অসমের ভুক্তভোগী বাঙালিরা*
Next articleরাম নবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর