তৃণমূলের সুরে ইস্তেহারে বিজেপিকে আক্রমণ, কেন্দ্রে সরকার গড়া নিয়ে আজও নীরব বামেরা!

ইস্তেহারে চোখা চোখা শব্দ আছে, মোদি সরকারকে নিশানা করা আছে, নানা প্রতিশ্রুতিও আছে। কিন্তু জিতলে কেন্দ্রে সরকার গঠন করবে কি না তা এখনও স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করতে পারল না বামেরা (Left)। লোকসভার প্রথম দফা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার ইস্তেহার (Manifesto) প্রকাশ করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bansu)। সেখানে বিজেপিকে তীব্র নিশানা করা হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের সুরেই মোদি সরকারের ভুয়ো প্রতিশ্রুতির উদাহরণ তুলে তোপ দেগেছে আলিমুদ্দিন। তবে, ২৮ বছর পরেও কেন্দ্রে সরকার গড়া নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারল না বামেরা।

ইস্তেহারে (Manifesto) বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি ক্ষেত্রে তা পূরণ করেনি মোদি সরকার। বামফ্রন্টের অভিযোগ, সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে বিজেপি (BJP) সরকার। আলোচনা ছাড়াই জোর করে বিল পাশ করানো হচ্ছে। এমনকী বাজেট পাশের ক্ষেত্রেও ৭৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আলোচনা ছাড়াই পাশ করানো হচ্ছে বলে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে বিজেপি- এই অভিযোগে প্রতিমুহূর্তে মোদি সরকারকে তুলোধনা করে তৃণমূল। এই ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে বামেরাও। ইস্তেহারে তাদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। এমনকী, রাজ্যের শাসকদলের সুরে নির্বাচন কমিশনকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে নিশানা করা হয়েছে।

ইস্তেহারে বামেদের অভিযোগ, টাকার জোরে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ভাঙছে বিজেপি। কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক নির্বাচন’- নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছে আলিমুদ্দিন।  সব মিলিয়ে প্রায় তৃণমূলের সুরই বামেদের ইস্তেহারে।

তবে বিজেপিকে হটিয়ে কেন্দ্রে জোট এলে, সরকারে থাকবে বামেরা? এই প্রতিশ্রুতি কিন্তু ইস্তেহারে নেই। ১৯৯৬ সালে জোটের মুখ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে। কিন্তু, CPIM-এর সেন্ট্রাল কমিটি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। দলের প্রতি দায়বদ্ধতায় নির্দেশ মেনে নেন যদি বসু। তবে, সেই ‘ঐতিহাসিক ভুল’ আর সংশোধন করা যায়নি। এবার যদি সুযোগ আসে, তাহলে কি কেন্দ্রে সরকারে থাকবে তারা! না এবার বাইরে থেকেই ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন? উত্তর নেই বামেদের ইস্তেহারে।