চোখের জলে মায়ের ছবি হাতে মনোনয়নে শতাব্দী, জনসুনামিতে ভাসলেন ইউসুফ

বাম জমানায় সেই ২০০৯ সাল থেকে একটানা সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আসছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা কম নয়। বীরভূম কেন্দ্রে ফের ভোটের ময়দানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় বীরভূম কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। তার আগে মনোনয়ন পেশ করলেন শতাব্দী। তার আগে পার্টি অফিসে বৃদ্ধ বাবার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম। সেই মুহূর্তে চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল!

এক হাতে প্রয়াত মায়ের ছবি। শতাব্দী বললেন, “আজ মা থাকলে!” …তারপর চোখের জল মুছেই বৃদ্ধ বাবা শৈলেন রায়কে প্রণাম করে ও মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। ক্ষণিকের সেই দৃশ্য যেন গোটা পরিবেশটাই আবেগঘন করে তুলল। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে চতুর্থবার মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার আগে এভাবেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন শতাব্দী রায়। মায়ের ছবি সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের কাছে মনোনয়ন জমা করলেন।

অন্যদিকে, বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড় থেকে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে মনোনয়ন দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। রাস্তায় শুধুই ছিল কালো মাথার ভিড়। বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের মনোনয়ন ঘিরে গোটা রাস্তা চলে গেল তৃণমূল কর্মীদের দখলে। কার্যত জনজোয়ারের রূপ নিল মনোনয়ন দাখিলের মিছিল।

টেক্সটাইল কলেজ মোড়ের তৃণমূলের জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে যখন মিছিল বের হয় তখনও বেশ কয়েকটি মিছিল ওই কলেজ মোড়ে পৌঁছতে পারেনি। পাঠান যখন জেলাশাসকের অফিসে পা রাখলেন, তখনও টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে মিছিলের শেষ ভাগ। পাঁচ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের উচ্ছ্বাসে জনসানামিতে ভেসে মনোনয়ন জমা দিলেন বহরমপুরের তারকা প্রার্থী।

আরও পড়ুন- ৪ ঘণ্টা ট্রেন লেট, যাত্রী বিক্ষোভে হাওড়া স্টেশনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি!

Previous article৪ ঘণ্টা ট্রেন লেট, যাত্রী বিক্ষোভে হাওড়া স্টেশনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি!
Next articleবাড়ল মমতা – অভিষেকের নিরাপত্তা, জনসভাতেও আঁটোসাঁটো নজরদারি