Sunday, August 24, 2025

কিছুদিন আগে তীব্র আন্দোলনের আভাস পেয়ে লাদাখের লেহ (Leh) শহরে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়েছিল। পরিবেশকর্মী ম্যাগসেসাই (Ramon Magsaysay) পুরস্কার জয়ী সোনম ওয়াংচুর আন্দোলন থামাতে ১৪৪ ধারা জারির পরিকল্পনা তার আগেই ফাঁস হয়ে যায় আন্দোলনকারীদের কাছে। প্রকাশ্যে কেন্দ্রের সরকারের সেই চক্রান্ত ফাঁস করে দেওয়ার পরে সেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সোনম ওয়াংচু দাবি করেন তাঁদের আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করতে না পারলেও সরকারি কর্মীরা যে তাঁদের সমর্থনেই রয়েছেন, তা স্পষ্ট হয় প্রশাসনের এই পরিকল্পনা ফাঁসে। আবারও সেই হিতাকাঙ্ক্ষীরাই সোনমকে চিঠি লিখে জানালেন, এবার তাঁর সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (bank account) নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি (ED)।

দেশের প্রত্যন্ত লাদাখের (Ladakh) সব সমস্যার বা আন্দোলনের অগ্রগতির খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেই তুলে ধরেন সোনম। এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি দাবি করেন বেনামে তাঁর কাছে একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “এই চিঠির একমাত্র উদ্দেশ্য যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে আপনাকে জানানো যে, আপনার সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি ব্যাঙ্কগুলি থেকে সংগ্রহ করেছে অর্থ তছরুপ সংক্রান্ত সংস্থা। (সেই একই ভাবে যেভাবে কেজরিওয়ালের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল) এটা আপনাকে জানানোর কথা ছিল না, তবে এটা আমার মনে হয়েছে আপনাকে জানানো প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগে পদক্ষেপ নিতে পারেন।”

প্রায় দুমাস ধরে চলা লাদাখের দাবি শোনার পরেও কোনও রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কেন্দ্রের সরকারকে। সম্প্রতি লাদাখের রাজ্যের স্বীকৃতির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল। সেখানেও রাজ্যের স্বীকৃতির দাবি জানানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশানাল কনফারেন্সের (J&KNC) চেয়ারপার্সন ওমর আবদুল্লা। লাদাখের দাবি পূরণে কোনও পদক্ষেপ নিতে না এগোলেও আন্দোলন দমনে বিজেপি যে কোনও ছুতোয় যে এগোতে পারে, সেই ইঙ্গিত সোনমের কাছে আসা সতর্কতামূলক চিঠিতেই স্পষ্ট। যেভাবে গোটা দেশের বিরোধী দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কণ্ঠরোধের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বিজেপির তরফে, এবার সেটাই লাদাখের আন্দোলনের জন্য প্রয়োগের পালা বিজেপির।

যদিও কেন্দ্রে এসব ভীতি প্রদর্শন টলাতে পারছে না ম্যাগসেসাই পুরস্কার প্রাপ্ত সোনমকে। তাঁর দাবি তিনি এবং গীতাঞ্জলি তাঁর সংস্থা সেকমল (SECMOL) থেকে কোনও বেতন নেন না। এমনকি প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি টাকা তাঁরা সংস্থাকে দান করেন। লাদাখে আয়কর জমা দেওয়ার আইন না থাকলেও তাঁরা আয়কর দেন। এবং পৃথিবীর কোথাও তাঁর নামে কোনও সম্পত্তি নেই।

Related articles

থিম ভাষা-সন্ত্রাস ও বাংলা-বিদ্বেষ! জোর প্রস্তুতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের 

২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। আবারও ছাত্র-ছাত্রীদের ঢল নামতে চলেছে কলকাতায়। পাহাড়...

যোগীরাজ্যে দলিত ইঞ্জিনিয়ারকে জুতোপেটা বিজেপি নেতার! ভাইরাল ভিডিও

সংবিধান রক্ষার বুলি আওড়ালেও বাস্তবে দলিত–আদিবাসীদের প্রতি ঘৃণা আর বৈষম্যই প্রকাশ পাচ্ছে বিজেপির শাসনে। যোগীরাজ্যে বিদ্যুৎ দফতরের এক...

বিশ্বের ২০ লক্ষ মানুষকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ: সাপের বিষের ওষুধও এবার বানাবে AI

স্কুল জীবনে বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল সকলেই কম বেশি পড়ে থাকি। তারপরেও বিজ্ঞানের কোনও প্রযুক্তি হাতে এলে তার...

চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে একবালপুরের নার্সিংহোম বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

আরএমও সেজে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসকের সহকারী, এবার অভিযুক্ত একবালপুরের ওই নার্সিংহোম বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য...
Exit mobile version