বিজেপির বীরভূম কেন্দ্রের মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন অসম্পূর্ণ দাবি করে বাতিল হয় তাঁর মনোনয়ন। জটিলতা আন্দাজ করেই দেবতনু ভট্টাচার্যও বিজেপির পক্ষে বীরভূম কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দেন। শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে নিরীহ ভোটারদের উপর গুলি চালনার ঘটনায় নাম জড়ায় তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে ভিজিল্যান্স শুরু হয়।
ভোটের মুখে পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন দেবাশিস। তাঁকে বীরভূমে প্রার্থীও করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার না হওয়ায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করল কমিশন। ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির।
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভায় এবিষয়ে বলেছিলেন বিজেপি প্রার্থীর ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার নেই। বিজেপি নিজেও বুঝেছিল এই প্রার্থী নিয়ে তাঁদের বেগ পেতে হবে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবারই আসানসোলের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দেবতনু ভট্টাচার্য দিয়ে মনোনয়ন জমা করায়। শুক্রবারই প্রার্থীপদ বাতিল হল দেবাশিসের। বাতিলের শংসাপত্র হাতে পেলেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান। কমিশনের নির্দেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন। তবে শুক্রবার তাঁর দ্রুত শুনানির আবেদন অগ্রাহ্য করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “দেবাশিস ধরের সৌভাগ্য যে ওনাকে ভোটে দাঁড়াতে হচ্ছে না। ওনাকে লোকে জানল। ভোটে দাঁড়ালে শতাব্দী রায়ের কাছে এমনিই তিন লাখ ভোটে হারত। ফলে হাত নেড়ে দাঁড়াতে চান বলে একটু ছবি বেরোলো, এটাই তো সান্ত্বনা পুরস্কার। নিশ্চিত পরাজয়ের আগে হালকা প্রচার হল, আবার লড়তেও হল না, এতে ওনারই ভালো হল।”