নির্বাচনী প্রচারে দাঁড়িয়ে সরাসরি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন কমিশন সতর্ক করলেও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে সরে আসেননি মোদি। এবার সমাজের বুদ্ধিজীবী মহল থেকেও প্রতিবাদে সামিল হলেন দেশবাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এভাবেই সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
মঙ্গলবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মঞ্চের সদস্যরা। ছিলেন একাধিক বিশিষ্টরাও। প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যালঘুবিদ্বেষী ভাষণ নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনপ্রতিনিধি আইন, ১৯৫১-এর ১২৩, ১২৩(৩এ) এবং ১২৫ ধারাকে লঙ্ঘন করে। সংখ্যালঘুদের নিয়ে তিনি যা বলেছেন তা একটা নির্মম পক্ষপাতিত্ব ছাড়া অন্য কিছু নয়। ১০ বছরের সামগ্রিক ব্যর্থতাকে চাপা দিতে নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন চলাকালীন এই সাম্প্রদায়িক মানসিকতার উস্কানি।
আর এই উস্কানি চরম বিপদ ডেকে আনছে দেশের সামাজিক স্তরে। দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। এদিন এই বক্তব্যের সপক্ষে মত প্রকাশ করেন পূর্ণেন্দু বোস, সুদেষ্ণা রায়, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, হরনাথ চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্টজনেরা।