ভাঙল ৫০ বছরের রেকর্ড! কলকাতায় পারদ উঠল ৪৩-এ, দেশের উষ্ণতম কলাইকুণ্ডা পুড়ল ৪৭.২ ডিগ্রিতে

ভাঙল দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের রেকর্ড। ৪৩ ছুঁল কলকাতার পারদ। গত ৫০ বছরে এমন তীব্র দাবদাহ দেখেনি শহরবাসী। পরপর দুদিনে দুই রেকর্ড ভাঙল শহরের পারদ। সোমবার ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিলের রেকর্ড ৪১.৭ ডিগ্রি ভাঙার পর মঙ্গলবারই সেই রেকর্ডকেও ভেঙে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল তাপমাত্রা। দমদম ও আলিপুরের তাপমাত্রাও পৌঁছেছে ৪৩ ডিগ্রিতে।

রাজ্য জুড়েই চলছে এমন বেলাগাম তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি যেন মরুভূমির আকার নিচ্ছে। রাজ্য তথা সারা দেশের উষ্ণতম হিসেবে এদিন ফের উঠে এল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডার পারদ। মঙ্গলবার ৪৭.২ ডিগ্রির গনগনে আগুনে পুড়ল কলাইকুণ্ডা। বাঁকুড়ায় পারদ উঠেছে ৪৫ ডিগ্রিতে, মেদিনীপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৫ ডিগ্রি এবং পানাগড়ের উষ্ণতা ছাড়াল ৪৪ ডিগ্রি। তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।

আপাতত আগামী ৪ মে পর্যন্ত এমনই চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। রাজ্যের তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি সমস্ত জেলায় জারি থাকবে তীব্র দাবদাহের ভয়াবহতা। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও চলবে তাপপ্রবাহ। মাঝবৈশাখেও মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর অপেক্ষায় চাতকের মতো বসে রয়েছে রাজ্যবাসী। এপ্রিল মাসেই টানা তিনসপ্তাহের বেশি তাপপ্রবাহে জ্বলছে মানুষ। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৫ মে রবিবার থেকেই দক্ষিণের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে তাতে তাপমাত্রার উপর বিশেষ প্রভাব পড়বে না। এদিকে খাস কলকাতাতেই এবার হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। সোমবার বাগুইআটির বাসিন্দা সুমন রানা ব্যক্তিগত কাজে বড়বাজার এলাকায় গিয়ে রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বড়বাজার থানার ২৬ বছরের ওই যুবককে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন- কথা রাখল রাজ্য, এসএসসি চাকরিহারাদের এপ্রিলের সম্পূর্ণ বেতন

Previous articleনর্তেশ্বর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ‘নৃত্য বিচিত্রা’, তিলোত্তমায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নৃত্যশৈলী
Next articleবিজন সেতুতে সিপিএমের হার্মাদদের হাতে আনন্দমার্গীদের গণহত্যার ৪২ বছর পার