কে ভুয়ো, কে আসল! সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার রেখার ভিডিও ঘিরে বিতর্ক, জঘন্য রাজনীতি: তৃণমূল

সন্দেশখালির মিথ্যাচার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। কেউ বলছেন, ধর্ষণ হয়নি। আবার কেউ বলছেন আমরা আসর নির্যাতিতা, ওরা ভুয়ো! অর্থাৎ সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ বলে যাঁরা সেই সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupandi Murmu) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা নাকি সাজানো। আর সেটা বলেছেন স্বয়ং বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির বিক্ষোভের মুখ রেখা পাত্র। এর আগে বিজেপি (BJP) নেতা গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তিনি জানান, সেখানে ধর্ষণ হয়নি। মহিলাদের ২০০০ টাকা দিয়ে এই সব অভিযোগ লেখানো হয়েছে। আর রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) ভাইরাল ভিডিওতে (ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ) বলতে শোনা যাচ্ছে, বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমরা নির্যাতিতা মায়েরা যদি সন্দেশখালিতে পড়ে আছি, তাহলে আমাদের হয়ে কারা গিয়েছে, তা জানা প্রয়োজন। আর রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে গিয়েছেন যে, আমাদের কিছু জানিয়েছিলেন? আমরা আন্দোলনের মুখ, আমাদের না নিয়ে গিয়ে অন্যদের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস কে দিয়েছে?”। এ নিয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, “গোটাটাই নাটক ছিল। কখনও রেখাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কখনও অন্যদের নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”

লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সন্দেশখালি নিয়ে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিজেপির অন্দরে আগুন। একেরপর এক ভিডিও ও বক্তব্য প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে গেরুয়া শিবির। ভাইরাল ওই ভিডিওয় বিস্ফোরক দাবি করেছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর (Rekha Patra)। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী হিসেবে যাদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন তিনি। আন্দোলনকারী মাম্পি দাসও প্রশ্ন তুললেন। নতুন যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে রেখা-সহ তিন মহিলাকে দেখা গিয়েছে। এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সন্দেশখালির আন্দোলনে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ছিলাম আমরা সবাই। আমাদের ছাড়া রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে কারা গেল? আমরা তাহলে কারা?” আরেক মহিলা বলেন, “অনুপ দাস নিয়ে গিয়েছিল বলে খবর পেয়েছি। ভিতরে ভিতরে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার কাছ থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে নিতেন। ওর সঙ্গে একজন গিয়েছিলেন, তাহলে কি ওই মহিলা তৃণমূলের লোক, উপরে উপরে বিজেপি করেন?” ওই ভিডিওয় রেখাকে বলতে শোনা যায়, “আমরা নির্যাতিতা মায়েরা যদি সন্দেশখালিতে পড়ে আছি, তাহলে আমাদের হয়ে কারা গিয়েছে, তা জানা প্রয়োজন। আর রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে গিয়েছেন যে, আমাদের কিছু জানিয়েছিলেন? আমরা আন্দোলনের মুখ, আমাদের না নিয়ে গিয়ে অন্যদের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস কে দিয়েছে?” আন্দোলনকারী মহিলাদের দাবি, সন্দেশখালির নির্যাতিতা বলে কিছু জনকে রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তারা। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, “তাহলে আমরা কারা?”

ভিডিও-য় রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া মহিলাদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী রেখা। প্রধানমন্ত্রী যখন বারাসাতে এসেছিলেন, সেই সময় তার সঙ্গে দেখা করেন রেখা এবং অন্যরা। এর পর পরই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান কিছু মহিলারা, যারা নিজেদের সন্দেশখালির আন্দোলনকারী বলে পরিচয় দেন। সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সন্দেশখালির রেখা এবং অন্যরা। তাদের দাবি, যারা আন্দোলনে সামিলই ছিলেন না, তাদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন। এক মহিলা বিজেপি নেত্রীর নামও উঠে আসছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী বিজেপি নেতা অনুপ দাস ও একসময় শিবুর ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি সন্দেশখালি থেকে একটি ভিডিও সামনে আসে, যেখানে বিজেপি-র অঞ্চল সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির গোটা ঘটনাই পরিকল্পিত এবং সাজানো। মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। শেখ শাহজাহানের মতো প্রভাবশালীদের জেলে পুরতে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর সহযোগীই গোটা পরিকল্পনা করেন এবং সেই মতো টাকা জোগান বলে ভিডিও-য় দাবি করতে শোনা যায় বিজেপি-র ওই অঞ্চল সভাপতিকে (সেই ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ)। এবার আরও এক ভিডিও সামনে এল।

এ নিয়ে সন্দেশখালিরতৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, “গোটাটাই নাটক ছিল। কখনও রেখাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কখনও অন্যদের নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে সন্দেশখালির মহিলাদের যে অসম্মান হয়েছে, গোটা বাংলার অসম্মান হয়েছে, বিজেপি–র মতো রাজনৈতিক দল এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এই জঘন্য, নির্লজ্জ রাজনীতি গোটা দেশে কায়েম করতে চায় বিজেপি।”






Previous articleআচমকাই শারীরিক জটিলতা, প্রয়াত বলিউড পরিচালক 
Next articleজম্মু-কাশ্মীরে গুলির লড়াই, ভারতীয় সেনার হাতে খতম ৩ লস্কর জঙ্গি!