প্রথম দুদফায় গরমিলের অভিযোগ, কমিশনকে ভোটের হার প্রকাশের সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কত ভোট পড়ল? লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুদফায় ভোটের হার নিয়ে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে তৃণমূলের (TMC) তরফে অভিযোগও জমা দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করে বিরোধীরা। শুক্রবার এই মামলায় ভোটের হার প্রকাশের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। এদিন শুনানিতে আদালত নির্দেশ দেয়, আগামী চারদফা ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচন শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোটদানের চূড়ান্ত হার জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথম দফা ভোটের ১১ দিন পর কমিশন ভোটের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। দ্বিতীয় দফার ভোটের ৪ দিন পর ভোটের হার জানায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোথায় কত ভোট পড়ল ভোটের দিনই তা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পরে চূড়ান্ত ভোটের হার জানানো হয়। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় দফার এক্ষেত্রে ভোটের দিনের হার ও পরে জানানো হারের মধ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। এই উদাহরণ তুলে কারচুপির অভিযোগ করে বিরোধীরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিজেপি দলের নেতৃত্বের অভিযোগ, বিকেল ৫টার পরেও যাঁরা ভোটের লাইনে থাকেন, সেই সংখ্যাটাই পরে চূড়ান্ত ভোটদানের হারের সঙ্গে যোগ হয়। কিন্তু তাঁদের দাবি ওই হার কখনোই ৫ থেকে ৭ শতাংশ হওয়া সম্ভব নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, যেখানে বিজেপির কম ভোট পোল হয়, সেখানেই নোটিশ জারি করে কমিশন ভোটদানের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরই কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। শুনানিতে কমিশনের সাফাই, চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু কাজ থাকে। সেগুলি শেষ করতে ভোটের পর আরও একদিন প্রয়োজন। এরপরই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেন, ভোট শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করতে হবে।





Previous articleআজ অক্ষয় তৃতীয়াতেই মনোনয়ন জমা অভিষেকের, দুপুরে আসানসোলে প্রচার 
Next articleঅক্ষয় তৃতীয়ার সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে পুজো, শুভেচ্ছা পোস্ট মমতা – অভিষেকের