বিজ্ঞাপনে বিধিভঙ্গ: স্থগিতাদেশ জারি করে বিজেপি-সহ কমিশনকে ধুয়ে দিল হাইকোর্ট

সংবাদপত্রে নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে সরাসরি নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছে বিজেপি (BJP)। এমনকী অভিযোগ পেয়েও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিজেপির একটি বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যত এভাবেই বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) চোখে আঙুল দিয়ে বেনিয়ম দেখিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।

বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে বিজেপির নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। অভিযোগ করা হয় বিজেপি, নির্বাচন কমিশন ও বাংলা দৈনিকের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞাপনটিতে অবমাননাকর বক্তব্য ও নির্বাচন কমিশনের বিধি ভাঙা হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ জানানো হয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সেই অভিযোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠান। তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিজেপি বা তাঁদের প্রচারিত বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি কমিশনের তরফে।

এই অভিযোগে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের হলে বিজেপি ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশন তাৎপর্যপূর্ণ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূলের অভিযোগে এবং নিজেদের দায়িত্ব ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়, তৃণমূলের অভিযোগে বাংলার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শুধুমাত্র হাত ধুয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপিকেও তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। পর্যবেক্ষণে জানানো হয় বিজেপির প্রকাশনা নির্বাচনী আচরণবিধির বক্তব্য ও নীতির প্রতি অবমাননাকর। বিজেপির বিজ্ঞাপন সরাসরি অবমাননাকর। সেই সঙ্গে বিজেপিকে পরবর্তী কোনও নির্দেশ ছাড়া এই ধরনের কোনও প্রকাশনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।