বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্তে CID,উঠে আসছে একের পর এক সূত্র!

বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের মৃত্যুর তদন্তভার নিয়ে একের পর এক সূত্র খুঁজে বের করছে সিআইডি। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতায় পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে আনওয়ারুলকে। এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে পৌঁছে সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী নিজে গোটা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন। সিআইডি সূত্রে খবর, নিউ টাউনের যে আবাসনে আনওয়ারুল ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটটির মালিক সরকারি কর্মচারী জনৈক সন্দীপ। তিনি আবার আমেরিকার আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেন। সেই ফ্ল্যাটে কী করে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য থাকলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার প্রতিটি পরতে রয়েছে একাধিক রহস্য।

সিআইডির আইজি জানিয়েছেন, গত ১২ মে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন আনওয়ারুল। প্রথমে উঠেছিলেন বরাহনগরে তাঁরই এক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। দুদিন পর বেরিয়ে আর খোঁজ মেলেনি। ১৮ তারিখে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট একটি সিট গঠন করে। সেই তদন্ত করতে গিয়েই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। নিউ টাউনের আবাসনের ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে রক্তের দাগ বাংলাদেশের সংসদ সদস্যেরই কি না তা স্পষ্ট নয়। সিআইডি কর্তা জানিয়েছেন, আনওয়ারুলের দেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। সাংসদের বাড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত আসার মাঝে কী কী ঘটেছিল এবং কার কার সঙ্গে কথা হয়েছিল এসবের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতা এবং বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে গত ১৪ মে আওয়ামী লিগ সাংসদের মোবাইলের সিম বেশ কিছু সময় বিহারের কয়েকটি জায়গায় সচল ছিল। কিন্তু তার আগের দিন সন্ধ্যায় তিনি তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জানিয়েছিলেন জরুরি প্রয়োজনে দিল্লি যাচ্ছেন। রাতে আর একটি মেসেজে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেও গিয়েছেন। আপাতত ব্যস্ত থাকবেন। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে। অন্যদিকে, সিঁথির বন্ধুর বাড়ি থেকে যে ভাড়া গাড়িতে করে বাংলাদেশের সাংসদ বেরিয়েছিলেন, সেটির চালক পুলিশকে জানিয়েছেন, সেদিন সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট হয়ে তিনি নিউটাউনে আনওয়ারুল আজমকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। চালকের বয়ান অনুযায়ী নিউ মার্কেটে তাঁর সঙ্গী হন এক বাংলাদেশের এক নাগরিক। তদন্তকারীদের অনুমান, আওয়ামী লিগ সাংসদকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে এবং তাঁর মোবাইলের সিম খুলে নিয়ে কাউকে বিহারে পাঠানো হয় বিভ্রান্ত করার জন্য।

 

Previous articleকেন্দ্রে এবার জোট সরকার, নিয়ন্ত্রণ করবে তৃণমূল :ঝাড়গ্রামে কুণালের নিশানায় বিজেপি
Next articleকীসের ভয়! তল্লাশি হতেই কেন আদালতে ছুটলেন শুভেন্দু-হিরণ