বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত জিহাদের

পড়শি রাষ্ট্রের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে (Bangladesh Awami League MP Md. Anwarul Azim) খুনের ঘটনায় ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে ১২ দিনের CID হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় ভাড়াটে খুনিকে। গোয়েন্দারা এখনও নিহত সাংসদের কোনও দেহাংশ খুঁজে পাননি। সিআইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করার পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আজিমকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জেরায় উঠে এসেছে। কিন্তু এখনও সেখান থেকে কিছু না মেলায় তদন্তকারী অফিসারদের তরফে আদালতে ধৃতের হেফাজতের আবেদন করা হয়। জিহাদকে আরও জেরা করা প্রয়োজন মনে করেই বারাসত আদালত ১২ দিনের হেফাজতের রায় দেন।

আদালত সূত্রে খবর ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হলেও তা ১২ দিনের জন্য মঞ্জুর হয়েছে। সিআইডি মনে করছে হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। শিলাস্তি রহমান নামের এক মহিলাকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সাংসদকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। টোপ দিয়েই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের ওই আবাসনে, মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডির একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকায় যায়। তদন্তকারীদের ধারণা খুনের অন্তত মাস দুয়েক আগে মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল জিহাদকে। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেছেন যে, প্রথমে আজিমকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। এখানেই শেষ নয় চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে তাতে হলুদ মাখিয়ে নেন অভিযুক্তেরা। একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গেছে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে দুজন খালি হাতে ঢুকলে পরবর্তীতে যখন বেরচ্ছেন তখন ট্রলি ব্যাগ দেখা যায় তাঁদের হাতে। এতেই দেহ পাচার করা হয় বলে অনুমান। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তা জানতে আগামী ১২ দিন জিহাদকে জেরা করার সুযোগ পেলেন তদন্তকারীরা।


 

Previous articleবিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ভাঙল পুরনো হংসমূর্তি! হইচই শান্তিনিকেতনে
Next articleগোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধাতেই OBC-রায়! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার, উচ্চ আদালতে যাওয়া ঘোষণা