Saturday, August 23, 2025

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ে সতর্কবার্তা ভারতীয় গবেষণাপত্রে!

Date:

Share post:

দিন কয়েক আগেই হু (WHO) প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার এক নয়া তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার (Uses of Antibiotics) বেড়েছে তাতে মানবদেহে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (Antimicrobial resistance) বেশি মাত্রায় তৈরি হচ্ছে। এবার ভারতীয় গবেষণাপত্রেও তার উল্লেখ মিলেছে। ‘ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্‌থ— সাউথইস্ট এশিয়া’ নামে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি, যেখানে বলা হয়েছে যে মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করার ক্ষমতা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।এমনিতেই নতুন ওষুধের অভাব, তার মধ্যে পুরনো অ্যান্টিবায়োটিকগুলিও আর কাজ দিচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।

ICMR-এর এএমআর সার্ভেল্যান্স নেটওয়ার্ক-এর ২১টি কেন্দ্র থেকে ছবছরের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR)বিশ্লেষণ করেছে। দেহে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যদি এই সংক্রমণ আটকাতে না পারে তখন AMR- এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে ওষুধ কাজ করে না। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে শুধু যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়ে তাই নয় রোগীর নিজেও ক্রমশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ‘ইমার্জিং ট্রেন্ডস ইন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ইন ব্লাডস্ট্রিম ইনফেকশনস: মাল্টিসেন্ট্রিক লংগিচুডিনাল স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (২০১৭-২০২২)’ শীর্ষক গবেষণাটি আইআইটি দিল্লি ও আইসিএমআর-এর গবেষকেরা করেছেন। গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এখন প্রায় অতিমারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই গবেষণায় দেশে রোগীদের রক্তের সংক্রমণে কী ভাবে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। যাতে চিকিৎসার কৌশল খুঁজে পাওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এই গবেষণা। ইিপেনেম ও মেরোপেনেম জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের নাম উল্লেখ করে জার্নালে বলা হয়েছে যে এই দুই ওষুধের ক্ষেত্রে AMR হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বের জন্যই এটা আশঙ্কার জায়গা বটে। এই পরিস্থিতি আটকাতে একদিকে যেমন আরও গবেষণা প্রয়োজন তেমনই এই খাতে আরও অর্থবরাদ্দ দরকার। তাই এক্ষেত্রে সরকারকেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।


 

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...