চাকরি হল না ৩৮ শতাংশ IIT পড়ুয়ার! নতুন কেন্দ্রগুলি বেশি সংকটে

দু বছরে চাকরি না পাওয়া পড়ুয়ার হার একলাফে দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বাজারেও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে

বছর শেষে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি(IIT)-গুলির ৩৮ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পেলেন না ক্যাম্পাসিংয়ে। মোদি জমানায় স্টার্ট আপ আর বিদেশি বিনিয়োগের ডঙ্কা বাজানো রাজনীতিকদের গালে যা একটা কষিয়ে চড়ের মতো পরিস্থিতি। তবে আইআইটি-র প্রাক্তনীরা এই পরিস্থিতিতে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পরিবারকে তাঁদের পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। আইআইটি পাশ পডু়য়াদের ক্যাম্পাসিংয়ে (campussing) চাকরি না পাওয়ার হার যেভাবে প্রতিবছর বেড়ে চলেছে তাতে মান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তনীরাও।

একটি আরটিআই-এর থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে ক্যাম্পাসিংয়ের যোগ্য ২১ হাজার ৫০০ পড়ুয়ার মধ্যে চাকরি পাননি ৮০৯০ জন, যা সব আইআইটি-র পড়ুয়া মিলিয়ে যার হার ৩৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে চাকরি না পাওয়া পড়ুয়ার হার ছিল ২১ শতাংশ, যা এবছর এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালেও এই হার ছিল ১৯ শতাংশ, যখন চাকরি পাননি প্রায় ৩ হাজার পড়ুয়া। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে ভবিষ্যৎ নিশ্চিৎ করতে উচ্চ মেধা নিয়ে ভর্তি হন সেরা পডু়য়ারা, সেখানে পড়াশোনা শেষে চাকরি না পাওয়া পডু়য়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে প্রশ্ন তৈরি হবে উচ্চ মেধার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েই।

২০২৪ সালের ক্যাম্পাসিংয়ের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে নতুন তৈরি আইআইটিগুলির থেকে এখনও অনেক নির্ভরযোগ্য ফলাফল পুরোনো আইআইটিগুলির। পুরোনো নয়টি আইআইটি-তে চাকরি না পাওয়ার হার ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে নতুন ১৪টি আইআইটির পড়ুয়াদের চাকরি না পাওয়ার হার ৪০ শতাংশ। পুরোনো ৯ আইআইটিতে ভর্তির হার বেড়েছে ১.২ শতাংশ। আর তার থেকেও বেশি চাকরি না পাওয়ার হার, ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি হয়নি ২.১ শতাংশের। তবে এক্ষেত্রেও বেশি খারাপ নতুন ১৪ আইআইটির। সেখানে ভর্তির উৎসাহ বেশি হওয়ার ভর্তির হার ১.৩ শতাংশ, সামান্য বেশি। কিন্তু চাকরি না পাওয়ার হার অনেক বেশি, ৩.৮ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তনীদের (alumnus) থেকে সাহায্য চাইছে আইআইটিগুলি। তবে দু বছরে চাকরি না পাওয়া পড়ুয়ার হার একলাফে দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বাজারেও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। যেখানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের বিজ্ঞাপনে দাবি করছে প্রতি বছর চাকরি পাওয়ার হারে বৃদ্ধির কথা, সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমশ নিম্নগতি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি করছে।

Previous articleগোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধাতেই OBC-রায়! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার, উচ্চ আদালতে যাওয়া ঘোষণা
Next articleবায়োলজিকাল জন্ম নয়! দেবতা হলে মন্দিরে থাকুন: মোদিকে মোক্ষম খোঁচা মমতার