ষষ্ঠ দফার লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) দিন ফের বিস্ফোরক নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার বিহারের (Bihar) পাটুলিপুত্রে ভোটের প্রচারে গিয়ে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করলেন মোদি। নাহ! শুধু আক্রমণ বললে ভুল হবে এদিন শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে বিরোধী জোটকে ‘মুজরোর’ নিদান দেন প্রধানমন্ত্রী। আর ভোটের মুখে এমন মন্তব্যকে পাল্টা হাতিয়ার করে মোদিকে ধুয়ে দিলেন বিরোধীরা। এদিন মোদির মন্তব্যের চরম সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মোদির মন্তব্যের চরম সমালোচনা করেন। পাশাপাশি এদিন সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মোদির চরম সমালোচনা করা হয়েছে।

Today, from a rally in Bihar, PM @narendramodi stooped to an all-time low by using the term "Mujra" to refer to the Opposition.
This is unprecedented in the history of India – a Prime Minister using such vile, derogatory language.
His words are not just an insult to the decorum… pic.twitter.com/uJPKZwePP4
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 25, 2024
এদিন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানান, প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় বিরোধীদের উদ্দেশে ‘মুজরো’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। আর এমন শব্দ ব্যবহার করে তিনি নিজের পদমর্যাদাকে লঘু করার পাশাপাশি একটা সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। এদিন মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন এটাই বিজেপির আসল সংস্কৃতি। ওদের দলের উপর থেকে নীচতলা পর্যন্ত একই জিনিস যা সারা দেশে চলছে এদিন তারই প্রতিফলন পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। শনিবার বিহারের পাটলিপুত্রে নির্বাচনী সভা করতে গিয়ে বিরোধী জোটকে তীব্র কটাক্ষ করেন। মোদির দাবি, মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের জন্য ‘মুজরো’ করতেও পিছন হবেন না বিরোধী জোটের সদস্যরা। যদিও এরপর বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের আঁচ পেয়েই একেবারে উল্টো সুরে এরপরই মোদি মনে করিয়ে দেন তাঁর জন্য সংবিধানই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মোদির জন্য বাবা সাহেব আম্বেদকারের ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়া জোট মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের জন্য যদি গোলামি করতে হয় তাহলে করুক। ওরা গিয়ে যদি মুজরো করতে হয় তাহলে তাই করুক।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী জোর গলায় বলেন, আমি SC, ST, OBC-র সংরক্ষণের পাশে আছি এবং থাকব। যতক্ষণ প্রাণ থাকবে ততক্ষণ লড়াই করব। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি, কলকাতা-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার খেলায় মেতে উঠেছে মোদি সরকার। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহার হল সেই রাজ্য যে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া SC, ST এবং OBC-দের অধিকার হরণ করে তা মুসলিমদের দিকে তা ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আমি ওদের পরিকল্পনা বাস্তব হতে দেব না। ওরা দাস হয়েও থাকতেও রাজি। মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুজরোও করতে পারে।
