বিজেপির দফাদফা হয়ে গিয়েছে, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না মোদি: কুণাল

লোকসভা ভোটের প্রচারে শনিবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মালা রায়ের (Mala Roy) সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণাল শুরুতেই বলেন, ছয় দফার ভোট শেষ। বিজেপি সরকারের দফারফা হয়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি দল সরকার গঠন করার জায়গায় আসতে পারবে না। ওদের গ্রাফ ক্রমশ কমছে। তৃতীয়বার আর মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না। মোদি সরকার যেতে চলেছে। ইন্ডিয়া জোটের সরকার আসতে চলেছে দিল্লিতে।

এদিনের সভায় দিল্লির সরকার এবং বাংলার সরকারের তুলনা টেনে এনে কুণাল ঘোষ বলেন ৫০০ টাকা থেকে বিচার করা শুরু করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। আর মোদি সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ৫০০ টাকা। এর থেকেই পরিষ্কার মানুষের পাশে কারা আছে। তিনি বলেন দিল্লিতে বিকল্প সরকার গঠনে চেয়ার গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্য বেশি সংখ্যক সাংসদ দিল্লিতে পাঠানো যাতে বাংলার বকেয়া নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়। যেখানে কেন্দ্র সরকার (central government) পেট্রোল ডিজেল থেকে কৃষকের সার, ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলেছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষক বন্ধু থেকে সবুজ সাথী, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে বাংলার মানুষকে ভাল রাখতে চাইছে। বিজেপি জানে দক্ষিণ কলকাতায় মালা রায় জিতছেন, তাই পদ্ম নেতারা নাটক শুরু করেছেন বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল।

কুণাল আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার মানুষের মাসিক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, আর তৃণমূল সরকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য বিনামূল্যে খাদ্য, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য আর বিনামূল্যে শিক্ষা। প্রত্যেকটি পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নাকি বলে বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। আর যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গপুজোর উদ্যোক্তাদের অনুদান দিচ্ছেন তখন বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিএম তারই বিরোধিতা করছে। এটা জীবন জীবিকার লড়াই, সেখানে নিজেদের ব্যর্থতা নজর ঘোরাতে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। আমাদের কাছে রাম মানে শুধু অযোধ্যার রাম নয়, রাজা রামমোহন রায়কেও আমরা প্রণাম করি। ২০২১ সালে বিজেপি এসে বলেছিল তারা বিধানসভায় ২০০-র বেশি আসন পাবে, কিন্তু তারা আটকে গেছেন ৭৭ সিটে। বাংলায় ভোটে হেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে বিজেপি। ধর্মের নামে অর্থনৈতিক সর্বনাশ করে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে বিজেপি।

এদিন সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কুণাল। তিনি বলেন, বাংলায় বিজেপির দুই ভাই, তারা হল সিপিএম আর কংগ্রেস। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দিয়েছিল সিপিএম, কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি তারা। আমাদের রাজ্যের ছেলেরা সব বাইরে চলে গেল। একটা পুরো প্রজন্মের কোমর ভেঙে দিয়েছে কমরেডরা। সবাই এখন ধোওয়া তুলসীপাতা হয়ে বসে আছেন। বক্তব্য শেষে সকলকে অনুরোধ করেন বিপুল ভোটে তৃণমূলকে জয়ী করার, যাতে আগামী দিনে যখন দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন যেন গোটা দেশের সাংবাদিকরা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যেন বুঝতে পারেন যে রাজধানীর বুকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM of West Bengal) এলেন দেশের নতুন সরকার গঠনের লাঙ্গল ধরতে।

আরও পড়ুন- গুজরাতের গেমিং জোনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু কমপক্ষে ২৪ জনের! আটকে একাধিক, শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleগুজরাতের গেমিং জোনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু কমপক্ষে ২৪ জনের! আটকে একাধিক, শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস