সাতদফা নির্বাচনের শেষ দফায় কলকাতা দক্ষিণে ভোট গ্রহণ হবে আগামী শনিবার। সেদিন আবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেও নির্বাচন। এদিন অভিষেকের সমর্থনে জনসভা করার পর শেষবেলায় কালীঘাটে মালা রায়ের (Mala Roy)সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই মঞ্চ থেকেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম- বিজেপির ‘সেটিং’ নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে লোকসভা ও বিধানসভায় কার ভোট কারা পাবে, সেই সমঝোতা হয়ে গিয়েছে লাল পতাকা আর পদ্ম শিবিরের মধ্যে। তিনি দাবি করেন যে লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election)বিজেপির ভোট পাবে বামেরা আর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট পাবে বিজেপি- এমনটাই নাকি ঠিক হয়েছে দুই দলের মধ্যে।

কালীঘাটের জনসভা থেকে শেষ দিনের প্রচারের ম্যাপ বাতলে দেন মমতা। মঞ্চে তখন মালা রায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার, মহুয়া মৈত্র, অরূপ চক্রবর্তীরা উপস্থিত। নেত্রী জানান, কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে থেকে কর্মসূচি শুরু, তাই ২টোর মধ্যে যাদবপুরের সুকান্ত সেতুর কাছে জমায়েত হবে। অরূপ বিশ্বাস সেই পদযাত্রার দায়িত্বে থাকবেন, পঞ্চাননতলা থেকে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল যুক্ত হবে যা গোপালনগর পর্যন্ত আসবে। নেত্রী জানান তিনি যাদবপুর থেকে গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, ল্যান্সডাউন, পদ্মপুকুর, চক্রবেড়িয়া, যদুবাবুর বাজার, হরিশ মুখার্জি রোড, ফায়ার ব্রিগেড হয়ে গোপাল নগর পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন। কর্মসূচির রুট ম্যাপ শুনতে শুনতে যখন মঞ্চের সকলের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় তখন মমতা বললেন, ” মাত্র ১২ কিলোমিটার হাঁটব। হয়ে যাবে।” তিনি বলেন এরপরেও আরও হাঁটতে রাজি তিনি। এরপরই বাম- পদ্ম আঁতাত নিয়ে সুর চড়ান তিনি। বলেন যে কোনও পার্টির একটা আইডিওলজি থাকে। কিন্তু এরা ভোটের জন্য সব করতে পারে। সিপিএম যেভাবে বিজেপির সঙ্গে সেটিং করেছে তার জেরেই বাংলায় তিনি ইন্ডিয়া জোটে যুক্ত হননি বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন রাজনীতিতে আদর্শ আর মূল্যবোধকে উপেক্ষা করা যায় না। যে দল এটা করে তাদের মানসিকতা বাংলা তথা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

মমতা বলেন, কলকাতা দক্ষিণের উন্নয়নের কাজে তৃণমূল সব সময় এগিয়ে এসেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান যে পিজি হাসপাতালের সামনে ক্যানসার হাসপাতাল করা হচ্ছে। মুম্বইয়ের ক্যানসার সেন্টারের সঙ্গে কথা বলে কাজ হচ্ছে। এর আরেকটা ইউনিট উত্তরবঙ্গে হচ্ছে। এরপরই মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন মা কালীকে ডেকে নাকি সাইক্লোন আটকে দিয়েছেন অথচ ওয়েদার অ্যাপ বলছে ২৭ তারিখ আটটার পর আর কোনও দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিলই না। আসলে এই প্রধানমন্ত্রী শুধুই মিথ্যে কথা বলেন। বাঁধের টাকা নিয়েও মোদিকে তোপ দাগেন তিনি। প্রচার শেষে ধ্যানের নামে যেভাবে মিডিয়া কভারেজ চাইছেন মোদি, সেটা যে ভন্ডামি এদিন সেই নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা।
