সপ্তম দফা ভোটের আগে ফের বাম জমানার দুর্নীতির পর্দা ফাঁস! সিপিএম আমলে নিয়োগপত্র ছাড়াই সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ! বর্তমান হুগলির গোঘাট হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অনিতা মন্ডলের নিয়োগ হয়েছিল চিরকুটে। স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগপত্র নাড়াচাড়া করতেই সামনে এলো চঞ্চল্যকর তথ্য।

অনিতা মণ্ডলের কাছে হাইকোর্টের নির্দেশের কপি নেই সহ-শিক্ষিকা নিয়োগের অথচ বিদ্যালযের রেজুলেশনে উল্লেখ আছে। বিদ্যালয়ের রেজুলেশনের বইতে উল্লেখিত হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৯৭ সালে “ভূগোল” বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন অনিতা মন্ডল। পরবর্তীকালে এই বিদ্যালয়েই ২০০৫ সালে অনিতা মন্ডল সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।


১৯৯৭ সালে অনিতা মণ্ডল “তথাকথিত” হাইকোর্টের নির্দেশে ইন্টারভিউয়ে বসেন এবং পরিচালন সমিতির প্যানেল অনুযায়ী শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু যখন তিনি এই গোঘাট হাইস্কুলে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় হাইকোর্টের নির্দেশেই ইন্টারভিউ-এর উপস্থিতির কপি জমা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণ পাঁজা।

উল্লেখ্য, বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অনিতা মন্ডলের দাদা স্বপন মন্ডল সিপিআইএমের দাপুটে নেতা ছিলেন তৎকালীন রাজনীতিতে। এই স্বপন মন্ডল নিজে একজন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক এবং তৎকালীন সময়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদেও ছিলেন বলে জানা গেছে।


কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেড়িয়ে পড়েছে কেউটে! অনিতার দাদা স্বপন মন্ডল নিজের প্রভাব খাটিয়েই নিজের দুই ছেলে, বোন অনিতা এবং ভাইকে চাকরিতে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এ বিষয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, বামফ্রন্টের আমলে যে চিরকুটে চাকরি হয়েছে তার একটা জ্বলন্ত প্রমাণ এই অনিতা মন্ডলের নিয়োগ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই নিয়োগের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
