তাপপ্রবাহে মৃত ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৪ জওয়ান! বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

তাপপ্রবাহের কারণে প্রবল জ্বরে মৃত্যু হয় ৬ জনের। ২ জনের অবস্থা এখনও গুরুতর। যদিও বেসরকারি সূত্রে দাবি ৭ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে

গত ৪৮ ঘণ্টায় যেভাবে বেড়েছে গোটা উত্তর ভারতের তাপমাত্রা তাতে কোথাও স্কুল ছুটি, কোথাও জলের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো চলছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। দীর্ঘ লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ দফায় এসে পৌঁছালেও তারই মধ্যে গরমের প্রভাবে প্রাণ গেল ভোট কর্মী থেকে ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একসঙ্গে ৬ জওয়ানের। একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের জেরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

শুক্রবার সবথেকে বেশি তাপমাত্রা ছিল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। নাগপুর শহরের রামদশপেঠ এলাকায় তাপমাত্রার পারদ চড়ে ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নাগপুরেরই অন্য একটি আবহাওয়া কেন্দ্রে পারদ সর্বোচ্চ চড়ে ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবারের পরে শনিবারও পঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লির কিছু অংশের পাশাপাশি ওড়িশায় তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা রয়েছে। তবে ২ জুন থেকে তাপপ্রবাহ কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই শুক্রবার কেরালা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পরে বাংলাতেও বর্ষা প্রবেশ করেছে।

তবে তার আগেই প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। শুধুমাত্র বিহার গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এর মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আট কর্মকর্তাও রয়েছেন। ওড়িশায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। শুক্রবার দুপুরে উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরে নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৩ জওয়ান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাপপ্রবাহের কারণে প্রবল জ্বরে মৃত্যু হয় ৬ জনের। ২ জনের অবস্থা এখনও গুরুতর। যদিও বেসরকারি সূত্রে দাবি ৭ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সোনভদ্রতে এদিন দুপুরে মৃত্যু হয়েছে ২ ভোটকর্মীর। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৪।