বিশ্বকাপ জয়ী দুই ক্রিকেটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বাউন্ডারির বাইরে দুই দুঁদে রাজনীতিবিদ

কীর্তি আজাদ যেখানে পেয়েছেন ৭লক্ষ ১৬ হাজার ৫৪৫ ভোট। সেখানে দিলীপের পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৯৭ ভোট

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। এই জয়ের ধারায় বিশ্বকাপ জয়ী দুই ক্রিকেটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন দুই দুঁদে রাজনীতিবিদ। দু’বারের সাংসদ, একবারের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। সেই তাবড় বিজেপি নেতা পরাজিত হলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে হার মানতে হল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। এ দিন, সকালে পোস্টাল ব্যালটে দেখা যায় দিলীপ ঘোষ এগিয়ে ছিলেন। তবে বেলা গড়াতেই বদলে যায় ছবিটা। মার্জিন বাড়তে থাকে তৃণমূলের কীর্তির। শেষ পর্যন্ত ওই লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসল তৃণমূলই। ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন কীর্তি।২০১৬ সালে বিজেপি-তে আসার পর থেকে এই প্রথমবার পরাজিত হলেন দিলীপ। অন্যদিকে, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তৃণমূলের কীর্তি আজাদও জানিয়েছিলেন শেষ হাসি তিনিই হাসবেন। যদিও প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে তৃণমূল প্রার্থী করায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। বাইরে থেকে আসা একজন প্রার্থীকে ভোটাররা কতটা মেনে নেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীর সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। কীর্তি আজাদ যেখানে পেয়েছেন ৭লক্ষ ১৬ হাজার ৫৪৫ ভোট। সেখানে দিলীপের পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৯৭ ভোট।

একইরকমভাবে বাজিমাত করেছেন আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তার লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে শেষ পর্যন্ত গড়-রক্ষা করতে পারলেন না অধীর। ২৫ বছর পর বহরমপুর কেন্দ্রে পরাজিত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পরপর ৫ বারে সাংসদ ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৯-এর নির্বাচনের পর কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাও হয়েছিলেন তিনি। বহরমপুরকে অধীরের ‘গড়’ বলেই চিহ্নিত করে থাকে রাজনৈতিক মহল। সেই গড়ই এবার হাতছাড়া! জয়ী হলেন রাজনীতির ময়দানে নতুন তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান।

অধীরের এই পরাজয় রাজ্যের কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। ইউসুফ পাঠানকে অনেকেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সে সব পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। শুরু থেকেই এবার এই আসন নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও অধীরকে বারবার আত্মবিশ্বাসী থাকতেই দেখা গিয়েছে। এই জয় যে ঘাসফুল শিবিরের একটা বড় প্রাপ্তি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।ফলাফল প্রকাশের পর ইউসুফ পাঠান জানান, শিশুদের জন্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমি বানাবেন তিনি, বন্ধ হওয়া কারখানাও খুলে দেওয়া হবে, প্রচুর মানুষের চাকরি হবে। তিনি বলেন, এখানকার মানুষ ভালবাসা দিয়েছে। ভাই হয়ে, বন্ধু হয়ে কাজ করব। ইউসুফ পাঠানের কাছে অধীর চৌধুরীর এই হার এবারের নির্বাচনে অন্যতম বড় চমক।





Previous articleএই জয় I.N.D.I.A. জোটের, সরকার গঠন নিয়ে বুধে বৈঠকে সিদ্ধান্ত: রাহুল গান্ধী
Next articleনৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করুন মোদি-শাহ! তীব্র আক্রমণ মমতার