অভিধানে নেই “বিশ্রাম”! জিতেই এলাকা উন্নয়নে নেমে পড়লেন যাদবপুরের সায়নী

দীর্ঘ প্রায় ৮০ দিন প্রচণ্ড দাবদাহ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট প্রচারে দিনরাত এক করে দিয়েছিলেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। মানুষ তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। রেকর্ড ভোটে যাদবপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নী প্রমাণ করছেন তিনি “ভোট পাখি” নন! বরং মানুষের প্রতিনিধি। তাই “বিশ্রাম” শব্দটি তাঁর অভিধানে নেই। রাজ্যের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম সাংসদ এবার নেমে পড়লেন এলাকা উন্নয়নের কাজে।

ভোটে জিতেই কাজের ময়দানে সায়নী। বারুইপুরে ফুড প্রসেসিং ইউনিট তৈরির উদ্যোগ নিলেন। বারুইপুর ফুলতলা কৃষাণ মান্ডি সংলগ্ন এলাকায় ফুড প্রসেসিং ইউনিট তৈরির জন্য স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সর্দারের সঙ্গে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন যাদবপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ সায়নী। ছিলেন বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী ও সরকারি আধিকারিকরা। “ফলের দেশ” বলে পরিচিত
বারুইপুর পেয়ারা, আম, জাম, জামরুল, লিচুর জন্য বিখ্যাত। দেশ বিদেশে চলে যায় বারুইপুরের ফল।

বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার বহুদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বারুইপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজ ও ফুড প্রসেসিং ইউনিট করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কোল্ড স্টোরেজ ও ফুট প্রসেসিং ইউনিট হলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। রাজ্যের বাইরে ও বিদেশে আরও বেশি বেশি ফল রফতানি করা সম্ভব হবে। নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারুইপুরে একটা কোল্ড স্টোরেজ ও ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আর নির্বাচন মিটতেই সেই কাজে গতি এল।

আজ, শুক্রবার দুপুরে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক নিয়ে বিভাস সর্দার ও সায়নী ঘোষ গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫ থেকে ৮ একর জমির প্রয়োজন এই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য। সায়নী বলেন, “বারুইপুরের ফল, বারুইপুরের গর্ব! বড় ধরনের ফুড প্রোসেসিং ইউনিট এখানে গড়ে তোলা হবে। বিধায়কের পূর্ব পরিকল্পনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন না থাকলে এটা সম্ভব হত না। আপাতত এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, জমি দেখা হয়েছে। বড়সড় একটি পরিকাঠামো নিয়ে নামা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে এই কোল্ড স্টোরেজ, সেই সঙ্গে হবে প্রচুর কর্মসংস্থান।

এরপর জয়নগরের বিডিও অফিসে গিয়ে যাদবপুর লোকসভা অন্তর্গত, বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে উন্নয়নমূলক আলোচনা করেন সাংসদ সায়নী ঘোষ।

আরও পড়ুন- জলকষ্টে দিল্লি ছাড়ছে বাসিন্দারা! কদর্য ‘জল ঠেলাঠেলি’ হিমাচল-হরিয়ানার

 

Previous articleরবিবার থেকে বন্ধ কাশী মিত্র শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি!
Next articleরেকর্ড ব্যবধানে জয়: দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের