সরাতে হবে ‘বিতর্কিত’ ভিডিও! কেজরি-পত্নী সুনীতাকে নোটিশ ধরাল দিল্লি হাই কোর্ট

অবিলম্বে সরাতে হবে ভিডিও। নাহলে বড়সড় পদক্ষেপের কথা জানাল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Aravind Kejriwal) স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে (Sunita Kejriwal) একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু কেজরি পত্নীকেই নয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ওই বিতর্কিত ভিডিও অবিলম্বে সরিয়ে নিতে বলে শনিবারই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স হ্যান্ডেল, ইউটিউবকে সতর্ক করেও দেওয়া হয়েছে। তবে দিল্লি হাইকোর্ট সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কর্তৃপক্ষকে সাফ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দিতে হবে।

কোন ভিডিও নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত…

সম্প্রতি আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে পেশ করানো হয়। আর কোর্টের ভিতরে কেজরিওয়ালের বক্তব্যের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন স্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা কর্মীরা। এরপর সুনীতাও আদালত কক্ষের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তা নিয়েই শুরু হয় জোর বিতর্ক। এরপরই ভিডিও ভাইরাল হতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাই কোর্টে। আর সেই মামলাতেই এবার বড় রায় দিল্লি হাই কোর্টের। সূত্রের খবর, বৈভব সিং নামে এক আইনজীবী কেজরির ওই বিতর্কিত ভিডিয়োর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর অভিযোগ, আদালত কক্ষের মধ্যে এই ধরনের ভিডিয়ো কোনওভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তা দিল্লি হাই কোর্টের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং নিয়মের বিরোধী। বহু আগে থেকেই এই নিয়ম কার্যকর রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের মধ্যেকার কোনও প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ড তো করা যাবেই না পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা কোনওভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এমন ভিডিও আপলোড করে আদালতকেই অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীর।

এরপরই দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ওই বিতর্কিত ভিডিও অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ, আদালতে যখন কেজরি নিজের বক্তব্য জানাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা শেয়ার করেন কেজরীর স্ত্রী সুনীতা। শনিবার দিল্লি হাই কোর্ট সুনীতাকে একটি নোটিশ ধরিয়েছে বলে খবর। তাঁকে অবিলম্বে ওই ভিডিয়ো নিজের সোশ্যাল থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবকেও ভিডিয়োটি দ্রুত সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।