Saturday, November 15, 2025

মমতার বিরুদ্ধে বিজেপিতে কোনও মুখ নেই! বঙ্গ নেতৃত্বকে দুষে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি RSS-এর মুখপত্রে

Date:

বঙ্গে বিজেপির বেলুন চুপসে গিয়েছে। ভরাডুবি পদ্ম শিবিরের। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে এখন হারের কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বিভিন্ন মহলে। আর এরই মধ্যে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি RSS-এর মুখপত্রে ‘স্বস্তিকা’-তে। BJP-র হারে পর্যালোচনায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বঙ্গ বিজেপিতে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে কোনও মুখ নেই। পাশাপাশি, গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের জনসংযোগের অভাবকেও দায়ী করা হয়েছে।এবারের লোকসভা নির্বাচনে BJP-র চারশো পারের স্লোগান তো কাজে আসেইনি উল্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে নাম না করে মোদি–শাহ জুটিকে বিধেঁছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির কারণ হিসেবে আরএসএসের মুখপত্রে স্বীকার করা নেওয়া হল, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ‌্য কোনও মুখ নেই বিজেপির। ‘স্বস্তিকা’র প্রতিবেদকের মতে, “লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন মমতা।“ সেই কারণেই যে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা সেটা কার্যত স্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, “পরাজয়ের নেপথ্যে নিজেদের দোষ দেখাটাই বোধহয় বিজেপি নেতাদের ভবিষ্যতের পক্ষে মঙ্গল।“

বাংলা ৩০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও মিলেছে মাত্র ১২টি। ২০১৯-এর থেকে ৬টি আসন কমে গিয়েছে বিজেপির। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে ৭টি বাড়িয়ে ২৯টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। আরএসএসের মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’ পত্রিকার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “চার বছর পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো গ্রহণযোগ্য আর জোরদার মুখ না থাকায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। ২০১৯-এর পর তিনটি নির্বাচনের দু’টিতে ল্যাজেগোবরে হতে হয়েছে বিজেপিকে। ২০২৬-এর ভোট এই রাজ্যে বিজেপির শেষ অগ্নিপরীক্ষা।“ নিশানা করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের সাংগঠিক দুর্বলতা ও জন সংযোগের অভাবকেও। লেখা হয়েছে, “দুর্বল সংগঠন আর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কম থাকায় বিজেপি নেতারা তা কাটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে মানুষ সরে গিয়েছে।“

পাশাপাশি, বিজেপি (BJP) প্রার্থী চয়নকেও নিশানা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর হারিয়ে যাওয়া নেতা থেকে শুরু করে, অচেনা-অজানা আর চমক দেওয়া প্রার্থী চয়নের ফলে বিজেপিকে বড়ো রকমের খেসারত দিতে হয়েছে।“

একই সঙ্গে স্বস্তিকাতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প তৃণমূলের প্রতি বাংলা মানুষর ভরসা বাড়িয়েছে।

আরএসএস-এর মুখপত্রে পরামর্শ, “মমতার বদলি মুখ এলে বা তার পালটা নেতৃত্ব এলে সে জাল হয়তো কাটবে। বিজেপির দুর্বল সংগঠন চাঙ্গা হবে। হোরো, পলাতক আর অযোগ্য প্রার্থীদের বাতিল করে পশ্চিমবঙ্গের দল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে বিজেপি। তবে এসব কেবলই ‘হবে হয়তো’। আসলটা এখন দেখার।“





Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version