এক্সিট পোলে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণে ইনসাইডার ট্রেডিং! তথ্য পেশ তৃণমূলের

লোকসভা নির্বাচনে এক্সিট পোল-স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বড় তথ্য পেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেয়েও সরকার গঠন করার পরে বিরোধী I.N.D.I.A. জোট বারবার দাবি করেছে এই সরকার স্থায়ী হবে না। সাংসদ সাকেত গোখলে আগেই দাবি করেছিলেন বুথ ফেরৎ সমীক্ষা দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া-র মতো সংস্থাকে। এবার তথ্য তুলে ধরল বাংলার শাসক দল তৃণমূল। কীভাবে ভুয়ো এক্সিট পোল প্রকাশ করে ইনসাইডার ট্রেডিং করেছে এই সংস্থা তা নিয়েই বিস্ফোরক সাকেত।

সাংসদ সাকেত জানান, অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া একটি বুথ ফেরৎ সমীক্ষা সংস্থা। যাদের ফলাফলের উপর অনেক সংবাদ মাধ্যম নির্ভর করে। এই সংস্থার গত কয়েক বছরের আর্থিক তথ্য বলছে বিনিয়োগ কাজকর্মের মাধ্যমে এই সংস্থার বার্ষিক আর্থিক লগ্নি ৩ থেকে ৫ কোটি। যদি এই সংস্থা ৩ ও ৪ জুন শেয়ার মার্কেটে লগ্নি করেছে অর্থাৎ ইনসাইডার ট্রেডিং (বেআইনি) হয়েছে। কারণ তাদের নিজেদের বুথ ফেরৎ সমীক্ষা (ভুল পথে চালিত করা), যা ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে ৩ জুন মার্কেট এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। কোনও কোম্পানির দ্বারা সম্প্রচারিত এক্সিট পোল যখন বাজারে প্রভাব ফেলে, তখন তারা আইনত বাজারে বিনিয়োগের অনুমতি পায় না। কিন্তু তথ্য বলছে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া সেই সময়েও বাজারে নগদের যোগান অব্যাহত রেখেছিল। গত তিন বছরের জন্য একটি MAJOR এক্সিট পোল কোম্পানির আর্থিক প্রতিলিপি তুলে ধরে তদন্তের দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সাকেত এক্স হ্যান্ডেলে গোটা বিষয়টি তুলে ধরে বিজেপির এই স্ক্যামের বিরুদ্ধে সেবির তদন্তের কথা লেখেন। তিনি জানান প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার এই কেলেঙ্কারিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অর্থ হারিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলে আগাম জেনেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লুট করেছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টও এই বুথ ফেরৎ সমীক্ষার তদন্তভার সেবির উপর দিয়েছে। কিন্তু আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও তদন্তে কোনও ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি। তবে তৃণমূল লাগাতার আন্দোলন ও আইনি পথে তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি তথ্য প্রকাশ করে জনসাধারণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তা রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের তথ্য প্রকাশেই প্রমাণিত।