রাজ্যের একাধিক জেলায় রাস্তার খারাপ হাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পর রাজ্য সরকার সমস্ত রাস্তার আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সমীক্ষা পর্বে জিআইএস ম্যাপিং এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বর্তমান পরিস্থিতি বিস্তারিত তথ্য সহ তথ্য ভান্ডার তৈরি করা হবে। কোথাও নতুন রাস্তার প্রয়োজন আছে কি না, কোথায় কোথায় মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে, কোন রাস্তা কতদিন আগে তৈরি বা মেরামত করা হয়েছিল সেসম্পর্কে সমস্ত তথ্য সেখানে থাকবে। কোনও রাস্তা তৈরির পাঁচবছরের মধ্যে খারাপ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই ‘পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ১২ হাজার কিমি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তারই সঙ্গে নতুন করে এই সমীক্ষার কাজও চলবে।
পথশ্রী প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় আরও ২৫ হাজার রাস্তা তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র হেল্পলাইনে জমা পড়া আবেদনের ভিত্তিতে এই রাস্তাগুলি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে ওই হেল্পলাইনে ৪০ হাজার গ্রামীণ রাস্তার আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ২৫ হাজার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় এপর্যন্ত রাজ্যের ২২ জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। প শ্রী ৩ প্রকল্পের আওতায় ৩৪৭৫.৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ অনুমোদিত হয়েছে। এই কাজ অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। তবে নির্বাচনের কারণে যেসব জায়গায় রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি, সেখানে দ্রুত কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গ্রামের মানুষের মূল অভিযোগই রাস্তার দুরবস্থা নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস বা সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পের বরাদ্দ। ফলে লোকসভা ভোটের পরে ফের একবার গ্রামীণ পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- চোপড়া- শিলিগুড়ির ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা, দেবাশিস প্রামানিককে বহিষ্কার ও হামিদুলকে শো-কজ তৃণমূলের