দুই বিধায়কের শপথের পর রাজ্যপালের বিবৃতি ব্যর্থতার আর্তনাদ, কটাক্ষ কুণালের

উপ-নির্বাচনে দুজনেই জয়ী হয়েছেন। মানুষ তাদের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছে বিধানসভায়

রাজ্য বিধানসভায় শুক্রবার উপ নির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিধানসভায় যে শপথ হয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ এবং আইন মেনেই হয়েছে। শপথের পরে রাজ্যপাল যে বিবৃতি দেন সে প্রসঙ্গে কুণাল এদিন বলেন, এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তার সাফ কথা, নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা মহামান্য রাজ্যপাল তৈরি করেছেন। আজ যে পরিস্থিতিতে বৈধভাবে, আইনসম্মতভাবে, রীতি মেনে শপথ হলো। তাতে যে দেরি হল, সে জন্য সম্পূর্ণ দায় মহামান্য রাজ্যপালের।
উপ-নির্বাচনে দুজনেই জয়ী হয়েছেন। মানুষ তাদের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছে বিধানসভায়। তাদের শপথ নিয়ে রাজভবনের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য এই বিলম্ব হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। রাজ্যপালের অন্যায় জেদ, পরিকল্পিতভাবে বিলম্ব ঘটানো এবং নির্বাচিত বিধায়কদের শপথে হস্তক্ষেপ করা, নির্বাচিত বিধায়কদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হতে দেওয়া, তার থেকেই এই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল এতদিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে তারপর ডেপুটি স্পিকারকে কেন দায়িত্ব দিলেন? রাজ্যসভার বিশেষ অধিবেশন চলছে। সেখানে ডেপুটি স্পিকার তার বক্তব্য জানিয়েছেন। তার পরে আইন মেনে অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। আমরা রাজ্যপাল কে বারবার বলেছি, আমাদের সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাববেন না। আজকে তার এই বিবৃতি ব্যর্থতার আর্তনাদ। দুজন নির্বাচিত বিধায়ক ভোটে জিতে এসেছেন। কেন তাদের শপথে দেরি হবে? এর আগেও তো উপ নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের শপথ হয়েছে। শপথের পর রাজভবনের যে বিবৃতি দেখা যাচ্ছে, তা বিলম্বের কারণে ব্যর্থতার আর্তনাদ।