সেই ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় শেষবার মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা আসনটিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারপর ২০১৬ ও ২০২১ সালে বাগদায় কাঙ্খিত জয় আসেনি রাজ্যের শাসক দলের। সীমান্তবর্তী বাগদা যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই বনগাঁতেও ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আজ, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচন (Bagdah Assembly By Poll) শুরু হয়েছে। এই আসনটিকে এবার পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। প্রার্থী করা হয়েছে নতুন প্রজন্ম থেকে। মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে বাগদার লড়াইয়ে ময়দানে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে গোটা প্রচার পর্বে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব মধুপর্ণাকে জেতাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ ভোটের দিনও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

প্রচারপর্বেই টের পাওয়া গিয়েছিল, জোরদার লড়াই হতে চলেছে বাগদা উপনির্বাচনে (Bagdah Assembly By Poll)। এই অবস্থায় ভোটের দিন কর্মীদের যে কোনও ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়ার রুম তৈরি করেছে তৃণমূল। বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরে বনগাঁয় এই ওয়ার রুম করা হয়েছে। দলের অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য আসছে ওয়ার রুমে। ওয়ার রুমের কর্মীদের কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। ইভিএমের সমস্যা থেকে ভোটের ময়দানে নানা ধরনের অভিযোগ—সবকিছুই নজরে রাখা এবং প্রয়োজনে তদারকি করবেন তাঁরা।

সার্বিকভাবে ভোট প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছেন মন্ত্রী সুজিত বসু, রথীন ঘোষ, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁ সাংগঠনিক তৃণমূলের সভাপতি তৃণমূল বিশ্বজিৎ দাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য প্রমুখ। বনগাঁর ওয়ার রুমেও এঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন। ৫০ জনের বেশি দক্ষ কর্মী রয়েছে ওই ওয়ার রুমে। সকাল ৭টা থেকে প্রতিটি বুথের এজেন্টকে ফোন করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের শুরুর সময়ের পরিস্থিতি জেনে নিচ্ছেন তাঁরা। যেখানে যেমন প্রয়োজন হচ্ছে, সেই মতো স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়ার কাজ চলছে ওয়ার রুম থেকে।

ওয়ার রুমে সমস্ত তথ্য এক জায়গায় করা হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সেই রিপোর্ট জমা পড়বে রাজ্যস্তরের দলীয় নেতৃত্বের কাছেও। সবমিলিয়ে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না তৃণমূল।

আরও পড়ুন: রানাঘাট দক্ষিনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অযথা লাঠিচার্জের অভিযোগ তৃণমূলের
