চেহারায় সেই বেপরোয়া ভাব! গ্রেফতারের পরেও দাপট কমেনি ধৃত জয়ন্তর

আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত সিংকে আগেই ‘কুখ্যাত সমাজবিরোধী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুই কী তোলাবাজি, হুমকি, এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো- এটাই তাঁর পরিচয়! গ্রেফতারের পরেও সেই দাপট কমেনি ধৃত জয়ন্তর।বরং তাঁর চেহারায় সেই বেপরোয়া ভাব স্পষ্ট।

শুক্রবার তালতলা ক্লাবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাতে জয়ন্তকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই চেনা ভঙ্গিমায় দেখা গেল তাকে। পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের ধাক্কা দিলেন এলাকার ‘জায়ান্ট’ নামে পরিচিত জয়ন্ত। চোখেমুখে বেপরোয়া ভাব স্পষ্ট। চোখেমুখে সেই ঔদ্ধত্য ভাব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেজাজ হারিয়ে ধাক্কা দেন জয়ন্ত। মারধর করেছিলেন কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, জয়ন্ত বলেন, ‘আমাকে কি দেখেছিলেন? যে ছিল, সে শাস্তি পাবে’। প্রসঙ্গত, জয়ন্ত প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংকে বার বার গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫টি মামলায় à§« বার গ্রেফতার হয়েছেন ২০১৬ সাল থেকে।

এদিকে আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্তের কোটি টাকার প্রাসাদোপম বাড়ির সন্ধান মিলেছে তাঁর খাটালের পাশে। বাড়ি নয়, যেন শ্বেতপ্রাসাদ। আর সেই প্রাসাদে থেকে বহু নারী সঙ্গ করতেন তিনি। মিলেছে তার হদিশ। সূত্রের খবর, স্যোশাল মিডিয়ায় তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান জয়ন্ত সিং। তার পর তাঁদের সঙ্গে শুরু হয় অশ্লীল চ্যাট। এমনকী, অনেক মহিলাই তাঁর শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। সেই মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি, ভিডিও করতেন তিনি। পরে সেগুলিই আবার অন্য মহিলাদের পাঠাতেন। অর্থাৎ অপকীর্তির সব ধাপই পার করেছেন কীর্তিমান জয়ন্ত।

আরও পড়ুন- স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজ করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের