লোকসভা থেকে উপনির্বাচন, একের পর এক ভোটে
ভরাডুবি। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে প্রবল অন্তর্কলহ! বঙ্গ বিজেপি নেতারা শুধু দায় ঝাড়তেই ব্যস্ত। ভোট বিপর্যয় নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছেন। সেই আবহে আজ, বুধবার সায়েন্স সিটিতে বিজেপির দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে ভোট বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ দায় এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। নির্বাচনী ভরাডুবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুভেন্দু জানান, তিনি বিরোধী দলনেতা হলেও, দলের সংগঠনের কোনও দায়িত্বে নেই। সব ছেড়ে দিয়ে বিজেপি-তে এসেছেন তিনি। অথচ, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখ হিসেবে কাজ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রার্থী নির্বাচন থেকে ভোট প্রচার, সবকিছুতেই রাজ্য নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছিলেন তিনি। এখন বিপর্যয়ের পর অন্য সুর বিরোধী দলনেতার গলায়।
এদিন শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikary) বলতে শোনা যায়, “এই ফলাফল আপনারাও কল্পনা করতে পারেননি, আমরাও কল্পনা করতে পারিনি। প্রেসের বন্ধুদের সামনে রেখে এখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে না। চুলচেরা বিশ্লেষণের দরকার আছে, সেই জায়গা আলাদা। লক্ষ্য করবেন, বিরোধী দলনেতা আমি। দলের সংগঠনের দায়িত্বে নেই। আমি লোকসভা নির্বাচনের আগে বা পরেই বলুন, সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন কথা বলি না, যাতে বুথের কর্মী, আমাদের ভোটাররা হতাশ হন। আমি এটাই চালিয়ে যাব।”
এরপর শুভেন্দুর সংযোজন, “আমি জাতীয়তাবাদী পরিবার থেকে এসেছি। মুকুল রায়ের মতো সব কেড়ে নেওয়ার পর আমি বিজেপি-তে আসিনি। সব ফেলে দিয়ে বিজেপি-তে এসেছি। বিজেপি এবং সনাতন, ভারতীয় সংস্কৃতী এবং রাষ্ট্রবাদ, এখানেই আমার রিটায়ারমেন্ট হবে। এটুকু আমি কমিটমেন্ট করতে চাই। অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছি আমরা। সংগঠনের ব্যাপারে যা বক্তব্য ছিল, দিল্লিতে গিয়ে সুনীলজিকে ওয়ান টু ওয়ান বলে এসেছি আমি। বাংলাকে কী করে বাঁচাতে হবে, অমিত শাহজি বাড়িতে ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিলেন, বলে এসেছি।”
সবশেষে শুভেন্দুর দাবি, বিজেপি-র সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা, এসব পরে হবে। লড়াই চলছে, চলবে। বিজেপি জিতবেই। কিন্তু কীভাবে? কবে? দলীয় বৈঠকে শুভেন্দুর বক্তব্যের পর নেতৃত্বের একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করে যেন এমনই প্রশ্ন করলেন!
আরও পড়ুন: ফের ম্যাথু স্যামুয়েলকে সিবিআই তলব! দেশের বাইরে নারদকর্তা