অস্পৃশ্যতার সংক্রমণ বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু, নাম না করে ‘অধিকারী’ নেতাকে আক্রমণ নকভির!

আরও বিপাকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্লোগানের বিরোধিতা করে বিজেপির অন্তর্কলহ আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটির বর্ধিত কর্মসমিতির সভায় নন্দীগ্রামের নেতার সংখ্যালঘু বিরোধিতার মন্তব্যে তোলপাড় পদ্ম রাজনীতি। আঁচ পড়েছে জাতীয় স্তরেও। কার্যত দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বঙ্গ বিজেপি। এই আবহে এবার নাম না করে মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা একদা বিজেপির অন্যতম সংখ্যালঘু ‘মুখ’ হিসেবে পরিচিত মুখতার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) খোঁচা দিলেন শুভেন্দুকে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রবীণ নেতা ‘অস্পৃশ্যতার সংক্রমণ’ ছড়ানোর জন্য সুকৌশলে শুভেন্দুকেই টার্গেট করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও কোথাও বিরোধী দলনেতার নাম লেখেননি নকভি।

গত লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) বিজেপি যে সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন পায়নি, সে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু প্রকাশ্যেই সুর চড়িয়ে মোদি স্লোগানের বিরোধিতা করেন। রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে হাঁটতে চাওয়ার মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, দলে সংখ্যালঘু মোর্চা রাখার প্রয়োজন নেই। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ ভাবনা থেকে সরে আসার প্রস্তাবও শোনা যায় তাঁর মুখে। এরপর দেখা যায় বিজেপিতে কার্যত দুটো গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেছে। অর্জুন সিং, তথাগত রায়রা সমর্থন করছেন শুভেন্দুকে, অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার কোন্দল আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সন্ধিক্ষণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে নকভি লেখেন, ‘অতি উৎসাহের অধিকারী কেউ কেউ হড়বড় করতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলছেন। এর ফলে অস্পৃশ্যতার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রত্যেকের বিশ্বাসকে সম্মান জানানো উচিত। তবে অস্পৃশ্যতাকে দূরে রাখাই শ্রেয়।’ তারপর একটি কবিতার লাইনও উদ্ধৃত করেছেন নকভি। শুভেন্দুর বলে ফেলা কথার অভিঘাত যে কতটা সেটা বেশ আঁচ করতে পারছেন পদ্ম নেতারা। বাধ্য হয়েই নিজের কথার সাফাই দিতে হচ্ছে শুভেন্দুকে। এরকম এক পরিস্থিতিতে মোদি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রীর পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।