মাটিতে পুঁতে দেওয়া হল শক্তিগড়ের প্রায় তিন কুইন্ট্যাল ল্যাংচা! কিন্তু কেন?

বৃহস্পতিবারের পর ফের শনিবার। শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলিতে যৌথভাবে ফের হানা দিল স্বাস্থ্যদফতর, জেলা পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও লিগ্যাল মেট্রোলজি দফতর। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী ও ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিইবি) এ এস চ্যাটার্জী। নষ্ট করে দেওয়া হল প্রায় তিন কুইন্ট্যাল অস্বাস্থ্যকর ল্যাংচা।

খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা এদিন দেখেন, অধিকাংশ দোকানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। খাবার তৈরি হয়েছে কবে, সেই তারিখের উল্লেখ নেই অনেক দোকানে। বহু দোকানের নেই FSSAI-এর লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন। মেয়াদ উত্তীর্ণ বা খারাপ হয়ে যাওয়া খাবারও মিলেছে কিছু দোকানে। কয়েকটি দোকানে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত রং খাবার অযোগ্য অর্থাৎ ভেজাল বা বিষ। সেই রং ব্যবহারের অনুমোদন দেয় না স্বাস্থ্যদফতর। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা রেখে বাকী প্রায় তিন কুইন্ট্যাল এই ধরণের ভাজা ল্যাংচা আজ বাজেয়াপ্ত করে তা পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি এদিন সাতজন দোকানদারকে আইনী নোটিশ ধরানো হয়েছে,কয়েকজনের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় ডায়েরীও করা হয়েছে। জানা গেছে, সমস্ত অসাধু দোকানদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ মামলা রুজু করা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের দশ লক্ষ টাকা অব্দি জরিমানা ও সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস বা উভয়ই হতে পারে। এদিন ক্রেতাদের শক্তিগড়ে ল্যাংচা কেনার আগে যথেষ্ট সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার কলকাতামুখী ও কলকাতা ফেরৎ ক্রেতাদের স্বার্থে স্বাস্থ্যদফতরের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারী জারি রাখতে ফুড সেফটি অফিসারদের মোতায়েন করেছেন জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী।

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ‘না’! রাজভবনের তদন্ত রিপোর্টকে ‘আবর্জনা’ কটাক্ষ কুণালের