বাংলাদেশের অশান্তিতে পাক মদত! বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সহায়তার কথা স্বীকার পাকিস্তান কনস্যুলেটের

সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন সামনে রেখে জ্বলছে বাংলাদেশ। প্রথম দফার আন্দোলন থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসার আগেই ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে একশোর গণ্ডি। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকার (Dhaka) পাকিস্তান (Pakistan) কনস্যুলেট জানালো, বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সহায়তা করতে তারা প্রস্তুত। একই সঙ্গে তারা জানায়, তিন আন্দোলনকারী ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং পাক দূতাবাসের তরফ থেকে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে যেকোনও ছাত্র পাকিস্তান কনস্যুলেটের সাহায্য চাইতে পারবেন বলে দরাজহস্ত পাক সরকার। আর এখানেই কূটনীতিকদের প্রশ্ন, তাহলে এতদিন বাংলাদেশের হাসিনা সরকার যে অভিযোগ করে আসছিল, যে এই অশান্তির পিছনে বাইরের মদত রয়েছে, এটা শুধু ছাত্র আন্দোলন নয়, সেই দাবিতেই কি সিলমোহর পড়ল না?

নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shekh Hasina) অভিযোগ করেন, এখন ছাত্ররা নয়, হিংসা ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা। এই আন্দোলনের পিছনে মদত দিচ্ছে জামাতের নিষিদ্ধ ছাত্র সংঘঠন এবং ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশন। আর এই দাবির পরেই সামনে আসে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান কনস্যুলেটের বিজ্ঞপ্তি। সেখানে লেখা হয়েছে,”বাংলাদেশে ঘটে চলা ছাত্র বিক্ষোভে প্রেক্ষিতে ঢাকার পাকিস্তান কনস্যুলেট এই বিবৃতি জারি করেছে। কনস্যুলেট স্বীকার করেছে যে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্র প্রতিনিধি সাহায্য চেয়েছেন। জবাবে কনস্যুলেট আশ্বস্ত করেছে, যে তারা প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সমর্থন করতে প্রস্তুত। আরও সহায়তার জন্য কনস্যুলেট রাজি এবং যে কোনও ছাত্র প্রয়োজনে কনস্যুলেটর কাছে সাহায্যের আবেদন করতে পারেন৷ জরুরি পরিস্থিতিতে, হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।” এর সঙ্গে ইমেইল এড্রেস এবং whatsapp নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর এই দেখেই কূটনীতিক মহলের মত, বাংলাদেশ সরকার তথা শাসকদল আওয়ামী লিগ যে অভিযোগ করছে, সেটাই মানবতা পেল। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান।


Previous article২৮ শে সমাবেশের আগে উত্তরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রথম রাজনৈতিক কর্মশালা
Next articleলোকসভা ভোটের ফান্ড নয়ছয়ের অভিযোগে একের পর এক নেতার ইস্তফায় অস্বস্তিতে বিজেপি