উন্নাও,হাথরাসের সময় চুপ কেন?বিজেপিকে তোপ কুণালের

সাক্ষী মালিকরা যখন বিজেপির ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছিল তখন কোথায় ছিল জাতীয় মহিলা কমিশন?আসলে ওরা বিজেপির হাতের পুতুল।

বিগত বাম জমানায় আরজি করের থেকে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির রাজ্য গুলিতে ঘটছে। উন্নাও, হাথরাসের ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন? আমরা কোনও তুলনা চাই না। বিরোধী দলনেতার নাম না করেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন,এই ঘটনা নিয়ে যদি নবান্ন অভিযান চান বিরোধীরা তাহলে আমাদের জিজ্ঞাসা উন্নাও, বিলকিস বানুর ঘটনায় কেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ইস্তফা দেননি? আরজি করের ঘটনাটা মোটেই রাজনৈতিক নয়, সামাজিক অপরাধ, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছেন। অভিযুক্ত দ্রুত গ্রেফতার হয়েছে। বিচারের দায়িত্ব সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। মানুষ জিজ্ঞেস করবে না উন্নাওয়ের সময়, হাথরাসের সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কেন ইস্তফা দেননি? সাক্ষী মালিকরা যখন বিজেপির ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছিল তখন কোথায় ছিল জাতীয় মহিলা কমিশন?আসলে ওরা বিজেপির হাতের পুতুল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুণাল বলেন, সিপিএম ও বাম শিবির কি ভুলে গেল চিকিৎসক অনিতা দেওয়ান, বর্ণালী দত্ত, ধানতলা, তাপসী মালিকের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা? বিজেপি প্রতিবাদ করার নামে নাটক করার আগে জবাব দিক উন্নাও- হাথরস- বিলকিসের মর্মান্তিক ঘটনার সময় বিপ্লব কোথায় ছিল? তিনি বলেন, বাম জমানায়, বিজেপি শাসিত রাজ্যে ওরা এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে চুপ ছিল। আর এখন গণ্ডগোল পাকাতে এসেছে। তিনি দাবি করেন, বাম জমানায়, বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলে নির্যাতিতার বাড়ি পর্যন্ত যাননি কোনও মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মতো সদর্থক পদক্ষেপ নেননি কোনও মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী পুরোদস্তুর অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে বাম- বিজেপি কী করে দাবি করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা? কুণালের সাফ কথা, গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার এই ধরণের একটা রেকর্ড দেখাক বিরোধীরা, তারপরে এই দাবি তুলুক। এদিন তিনি নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বলেন, বিজেপি সাংসদ যখন কুস্তিগীরদের হেনস্থা করেছিল তখন প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেননি কেন?

কুণাল বলেন, বিরোধীরা বলার আগেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘোষণা করেছেন প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হবে। তিনি নিজে ছুটে গিয়েছেন নির্যাতিতার বাড়িতে। আর জি করের ঘটনা ভয়ংকর, নৃশংস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বক্তব্য রেখেছেন। অন্য রাজ্যে যে ঘটনা ঘটছে সেই তুলনায় এ রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। একজন গ্রেফতার হয়েছেন। আজকে সিবিআই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি মানে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছেন। লক্ষ লক্ষ রোগী বিনা চিকিৎসায় বিপদে পড়েছেন। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু খবর আসছে, যা মোটেই কাম্য নয়। চিকিৎসকদের কর্মবিরতি মানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। অবশ্যই তারা প্রতিবাদ করবেন, তাদের প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু সেটা কর্মবিরতি করে মোটেই নয়। সিবিআই হয়ে যাওয়ার পরও কর্মবিরতি কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তার অনুরোধ, অবিলম্বে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নিয়ে রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। চিকিৎসকদের আবেগকে সম্মান দিয়ে বলছি, কর্মবিরতি মেনে নেওয়া যায় না।

 

 

Previous articleআর জি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে পড়ল সিবিআই, শুরুতেই হাজির টালা থানায়
Next articleস্বাধীনতা দিবসের আগে দেশে হা.মলার ছক! বাড়ল নি.রাপত্তা