মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ- খুনের বিশদ বর্ণনা অনুতাপহীন অভিযুক্তের, ‘বিকৃত’ পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি!

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের শারীরিক ভাষায় অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনার রাতের প্রতিটা মুহূর্তের বর্ণনা এতটাই অবলীলায় দিচ্ছেন ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার যা শুনে রীতিমতো শিউরে উঠছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশ (KP) আগেই জানিয়েছিল অভিযুক্তর মোবাইল থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর ‘বিকৃত’ মানসিকতার পর্নোগ্রাফি আসক্তির কথাই বারবার ধরা পড়ছে। হাসপাতালে যেভাবে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তা গোটা দেশের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অথচ সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ অবলীলায় দিচ্ছেন অনুতাপহীন সঞ্জয়। অভিযুক্ত কি বিকৃত মানসিকতার মানুষ, প্রশ্ন সিবিআইয়ের (CBI) মনে।

কেন্দ্রীয় এজেন্সি চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তদন্তভার গ্রহণ করে এখনও পর্যন্ত কাউকে অ্যারেস্ট করতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। অভিযুক্ত শুধু পর্নোগ্রাফি নয়, ‘বিকৃত’ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এক সিবিআই কর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের মানসিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট বলছে সঞ্জয় পাশবিক প্রবৃত্তিতে আসক্ত। ভাবলেশহীন ভঙ্গিমায় ধর্ষণের প্রত্যেকটা মুহূর্তের কথা তিনি তদন্তকারীদের জানাচ্ছেন এবং সেই সময়ে তাঁর চোখে মুখে যে অভিব্যক্তি তাতে অপরাধবোধ কিংবা অনুতাপের লেশমাত্র নেই। এই ঘটনায় অবাক অফিসাররা। ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে যে অভিযুক্ত উপস্থিত ছিলেন, তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। তবে তাঁর সঙ্গে আরও কেউ সেখানে ছিলেন কি না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি। গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়।ধৃত সে রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন, মদও খেয়েছিলেন। তাঁর মোবাইল ভর্তি ছিল পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো। ঘটনাস্থলের কাছে সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে দেখা যায় ভোর ৪টে নাগাদ। এবার সঞ্জয়ের পলিগ্রাফি টেস্ট করে আরো কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান গোয়েন্দারা। যদিও সূত্র বলছে অভিযুক্ত এই বিষয়টির জন্য সম্মতি প্রকাশ করেননি। শুক্রবার আদালত সঞ্জয়কে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দেওয়ার পাশাপাশি পলিগ্রাফ টেস্ট করার জন্য অনুমতি দিয়েছে সিবিআইকে।


Previous articleR G Kar: আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তভারও CBI-কে দিল হাই কোর্ট
Next articleR G Kar নিয়ে গোপন বৈঠক অরিজিতের! ভাইরাল অডিওর সত্যতা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা