বিতর্কের চাপে স্যোশাল মিডিয়ার প্রোফাইল ডিলিট অরিজিতের!

আর জি কর (RG Kar Medical College and Hospital)কাণ্ডের জেরে যখন সমাজমাধ্যম তোলপাড় তখন গান গেয়ে নিজের মতো করে সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। এরপরই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)প্রশ্ন তোলেন, যে মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে কেন গান হয় না? কেন সাক্ষী মালিকদের নিয়ে সেলেবদের এই প্রতিবাদ কেন জোরালো হয় না? যেহেতু হিন্দি জগত কর্মক্ষেত্র তাই সেখানেই টাকা, যশ, কেরিয়ারের সুযোগ। তাই কি সেখানে অন্যায় হলে নীরবতা বজায় রাখেন শিল্পীরা? যদিও গায়কের গানের প্রশংসা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল নেতার কটাক্ষ ছিল’ বিবেক জাগে বাংলায়’। এরপর সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও নিজের এক্স হ্যান্ডেল ‘আত্মজোয়ার জ্বালো’ থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে লেখা সেই প্রচলিত বাগধারা, “ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।” কিন্তু এরপরই আচমকাই মুছে যায় অরিজিতের প্রোফাইল!

সমাজমাধ্যম আর জল্পনার বেড়াজাল থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন অরিজিৎ। পথে নেমে গায়ক কেন প্রতিবাদ করেননি তা নিয়ে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। এর মাঝেই নিজের মতো করে বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন গায়ক। তাঁর অন্যরকম প্রতিবাদের ভাষার স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিল গান “আর কবে?”এমনিতে লাইমলাইট পছন্দ করেন না মুর্শিদাবাদের সাদামাটা ছেলেটা। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সবাই চিনে নিয়েছেন গায়কের প্রোফাইল ‘আত্মজোয়ার জ্বালো’। খুব বেশি ফলোয়ার্স নেই, না ছিল ভেরিফায়েড ব্লু টিক। কুণালের কটাক্ষের পরই এই প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে লেখা সেই প্রচলিত বাগধারা, “ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।” কাকে উদ্দেশ্য করলেন তিনি? সেটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এরপরই সব ভ্যানিশ! শুক্রবার সন্ধ্যার পর নজরে এল অরিজিতের প্রোফাইল খুললেই আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। শুধু লেখা রয়েছে,”দ্য প্রোফাইল ডাজ় নট এক্সিস্ট।” যার বাংলায় করলে মানে দাঁড়ায়, এই প্রোফাইলটির আর কোনও অস্তিত্ব নেই। কী কারণে এমন ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।


Previous articleসব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা ব্র্যাভোর, শেষ খেলবেন এই ম্যাচ
Next article‘খবর আগে থেকেই ছিল’! ইউক্রেন রাতভর ড্রোন হামলা চালাতেই পাল্টা তোপ রাশিয়ার