Thursday, August 28, 2025

ভূটান থেকে কলকাতা! ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরার কর্মজীবনে একাধিক চমক

Date:

আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের পর থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আর বাহিনীর সামনে বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (Indira Mukharjee)। সাংবাদিকদের চোখা প্রশ্নের উত্তর সাবলীলভাবে দিয়ে স্মার্ট কপ-এর তকমা পাচ্ছেন এই বাঙালি IPS। সঙ্গে জুটছে ভুল বলার অভিযোগও। স্বভাবতই তাঁর কর্মজীবন ও ছাত্রজীবন ঘিরে শুরু হয়েছে কৌতুহল।

কে এই ইন্দিরা?
২০১৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর
স্কুলজীবন কেটেছে কলকাতা ও ভূটানে
পেশায় ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি করেছেন  টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস (TCS)-এ।
পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাও রয়েছে মেধাবী ইন্দিরার।

ইউপিএসসি-র মেইনসে ইন্দিরার (Indira Mukharjee) অপশনাল বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস। ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার ইন্দিরা ইউপিএসসির ইন্টারভিউতে প্রস্তুতি নিতেন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির এই কৌশলই বোধহয় তাঁকে যে কোনও প্রশ্নের সামনে সাবলীল রাখছে।

আইপিএস অফিসার হিসেবে রাজ্যের একাধিক জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্দিরা। ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর দিনাজপুরে এএসপি পদে থাকার সময় সংবাদের শিরোনামে আসেন ইন্দিরা। রায়গঞ্জে রাতে ডিউটি সেরে ফেরার পথে দেখেন মহিলা রাস্তার উপর একা মহিলা বসে আছেন। সন্দেহ হওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যান ইন্দিরা। গিয়ে দেখেন ওই মহিলার শ্বাসনালি কাটা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলাকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। চিকিৎসকদের মতে, ঠিক সময়ে আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে না গেলে বাঁচানোই সম্ভব হত না। তারপর থেকেই ইন্দিরাকে প্রবল ভরসা করতেন রায়গঞ্জবাসী।

এবছর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন রাজভবনের এই অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। মামলা রুজু হয়। বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। অভিযোগ ছিল, রাজ্যপালের নামে গুজব ছড়ানোয় উৎসাহ দিচ্ছেন এই আইপিএস অফিসার। রাজ্যপালের পদকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।  কেন্দ্র-রাজ্য দু জায়গাতেই  অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানায়, সরাসরি আইপিএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না কেন্দ্র। তবে, ব্যবস্থা নেওয়া নয়, আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করে রাজ্য। স্বাধীনতা দিবসে ৪ জন আইপিএস অফিসারকে পুলিশ মেডেলের জন্য বেছে নেওয়া হয়। সেই তালিকায় জায়গা পান ইন্দিরাও।











Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...
Exit mobile version