চিকিৎসক-নাগরিক সমাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নয়: দলীয় নেতাকর্মীদের নম্র হওয়ার বার্তা অভিষেকের

আর জি করের চিকিৎসক পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সরব সারাবাংলা। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তার ও নাগরিক সমাজের আন্দোলন সম্পর্কে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরূপ মন্তব্য না করার বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। সোমবার রাতে সিবিআই-এর হাতে আরজি করের (R G Kar Madical College And Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক বলেন, দলের জন প্রতিনিধিদের আরও নম্র ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।

আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব অভিষেক। এই জঘন্য ঘটনায় দোষীর সাতদিনের মধ্যে এনকাউন্টার করার আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ। জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ সঙ্গত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে এই বিষয় নিয়ে দলেরই কয়েকজন নেতানেত্রীর মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। যার জেরে কড়া পদক্ষেপও করতে হয়েছে সোমবারই। এরপরই সন্ধেয় বার্তা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন,
“দলের জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।
আমি তৃণমূলের সবাইকে অনুরোধ করছি চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের কারও সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করবেন না।
প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ করার এবং নিজের মত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। এটাই পশ্চিমবঙ্গকে অন্যান্য বিজেপিশাসিত রাজ্য থেকে আলাদা করে।
আমরা বুলডোজার মডেল এবং রাজনীতির নিপীড়ন কৌশলের বিরুদ্ধে আন্তরিকভাবে লড়াই করেছি।
এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।”

এই পোস্ট ফের ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনায় দ্রুত আইন কার্যকর করার বিষয় নিয়ে সরব হন অভিষেক (Abhishek Bandyopadhyay)। লেখেন,
“এই লড়াইয়ে বাংলাকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে এবং যতক্ষণ না অপরাধীদের শাস্তি না হয় এবং রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার উভয়ের দ্বারা একটি ধর্ষণ-বিরোধী সময়-বাধা আইন প্রণয়ন করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত থামা যাবে না।”













Previous articleকর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা! রাজ্যের পরিষেবার হাল জানতে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleসিবিআই তদন্তের পরেও রায়দান হয়নি প্রায় সাত হাজার মামলার: রিপোর্ট ভিজিলেন্স কমিশনের