তৃণমূলের পতাকা পোড়ানো-ঋতুপর্ণাকে কুকথা: আবেগের আড়ালে কারা? প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ কুণালের

R G Kar Medical College And Hospital-এর চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে গর্জে উঠেছে সারা সমাজ। নাগরিক সমাজের ডাকে হচ্ছে রাত দখল কর্মসূচি। কিন্তু রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া রংহীন আন্দোলনের বারবার উঠছে রাজনৈতিক মেরুকরণের অভিযোগ। কারণ, এমন কিছু দৃশ্যে ক্যামেরা বন্দি হচ্ছে যাতে সহজেই প্রশ্ন উঠছে এরা কার? ১৪ অগাস্টের পরে ৪ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখলের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কিন্তু সেখানে মহানগরীর বুকে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) দলীয় পতাকার পোড়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শ্যামবাজারে মোড়ে প্রতিবাদে যোগ দেওয়ায় যে ভাবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে হেনস্থা হতে হয়েছে- তারও তীব্র নিন্দা করেন কুণাল। গর্জে উঠেছে শিল্পী-সহ সমাজিক মহলেও।তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদ রাত জেগেছে নাগরিক সমাজ। সেই আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। একথা বারবার স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু নাগরিক সমাজকে সামনে রেখে বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে- তার বিরুদ্ধে সরব শাসক-শিবির। বুধবার রাতের আন্দোলনের একটি ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুবিচারের দাবির মধ্যেই শ্যামবাজারে তৃণমূলের পতাকায় পোড়াচ্ছেন কয়েকজন যুবক। এর তীব্র প্রতিবাদ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুকে পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। লেখেন, “সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল। নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগে অন্য উদ্দেশ্যসাধন চলছে। নাগরিক প্রতিবাদকে সমর্থন। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক।“ দাবি তোলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।

আরও পড়ুন: রাত দখল কর্মসূচিতে ঋতুপর্ণার সঙ্গে চূড়ান্ত অসভ্যতা কেন? গর্জে উঠল টলিউড

শ্যামবাজারে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরে আন্দোলনকারীদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয় তাঁকে। ‘ধিক্কার’ স্লোগান শুনে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান তিনি। এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন কুণাল। তাঁর কথায়, নাগরিক সমাজ কখনও এটা করতে পারে না। একদন সুযোগ সন্ধানী এই পরিস্থিতির আড়ালে অরাজকতার অপচেষ্ট করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। নিজের এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন,
“ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত গিয়েছিলেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে সামিল হতে।
তাঁকে শ্লোগান দিয়ে, কুকথা বলে, অপমান করে, কার্যত লাঞ্ছনার মধ্যে ফেলে তাড়ানো হল।
কারা করল?
সাধারণ নাগরিকসমাজ এটা করতে পারেন না।
ন্যায্য আবেগের আড়ালে কারা অন্যায্য আচরণে অরাজকতা ছড়াতে চায়?
নজর রাখুন। সচেতন থাকুন।”

কুণালের আশঙ্কা, নাগরিক সমাজের আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধীরা ঘোলাজলে রাজনীতির চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বিষয়ে নাগরিক সমাজ ও রংহীন আন্দোলনকারীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতা।










Previous articleকরম পুজোয় চা শ্রমিকদের সবেতন ছুটি নবান্নের, বন্ধ থাকবে সরকারি দফতর
Next articleজাতীয় স্তরে এমন ঘটলে পুরস্কার ফেরাবেন তো? নাট্যকার-শিল্পীদের কটাক্ষ ব্রাত্যর